কলকাতার কালী – করুণাময়ী কালী মন্দির

411

ইতিমধ্যে কলকাতার কালী নিয়ে যত গুলি পর্ব লিখেছি প্রায় সব গুলোই আমার পাঠক মহলে প্রশংসিত হয়েছে|আজকের পর্বে লিখবো কোলকাতার অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণএকটি কালী মন্দির নিয়ে|আজকের পর্বে করুণাময়ী কালী মন্দির|

কলকাতার দক্ষিণে টালিগঞ্জ এ আদি গঙ্গার তীরে অবস্থিত এই প্রাচীন কালী মন্দির টি|বর্তমানে মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন থেকে সামান্য দূরে|কলকাতার বিশেষত দক্ষিণ কলকাতার মানুষের কাছে এই বিশেষ কালী মন্দির টি বেশ জনপ্রিয় ও প্রসিদ্ধ|এই মন্দিরের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে রয়েছে এক অলৌকিক কাহিনী|

একটি প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে কলকাতার প্রখ্যাত সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারে এক জমিদার ছিলেন নন্দ দুলাল রায় চৌধুরী|তিনি ছিলেন কালী সাধক|নন্দ দুলাল বাবুর এক কন্যা মাত্র সাথে বছর বয়সে পরলোক গমন করেন|তার নাম ছিল করুনা|পরবর্তীতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছি নন্দ দুলাল বাবু এই কালী মন্দিরটি নির্মাণ করান ও নিজের মৃতা কন্যার আদলে দেবী মূর্তি গড়িয়ে তা প্রতিষ্ঠিত করেন এই মন্দিরে|সেই থেকে এই কালী মন্দিরের নাম হয় করুণাময়ী কালী মন্দির|

এই কালী মন্দিরে কালীমন্দিরের সঙ্গে বারোটি শিবমন্দির ও একটি গণেশমন্দিরও রয়েছে|এছাড়াও একটি রামকৃষ্ণ মন্দির রয়েছে|কষ্টি পাথরের তৈরী কালী মূর্তি এখানে পঞ্চ মুন্ডির আসনে বিরাজিতা এবং নানাবিধ অলংকারে সজ্জিতা|শোনা যায় এই কষ্টি পাথর টিও নন্দ দুলাল রায় চৌধুরী দেবীর আদেশে গঙ্গার টির হতে সংগ্রহ করে আনেন|এখানে প্রতিষ্ঠিত শিব লিঙ্গ টিও ওই একই পাথরে নির্মিত|

বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিশেষ পূজা ছাড়াও প্রতি বছর কালীপুজোর দিন করুণাময়ীকে দেওয়া হয় ১১ রকম মাছের ভোগ এছাড়াও আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার|মা কালী এখানে ঘরের মেয়ে রূপে পূজিতা হন|

আজকের পর্বে এই বিশেষ কালী মন্দির নিয়ে লেখা এখানেই শেষ করছি|আরো অনেক গুলি পর্ব বাকি আছে যা আনবো আপনাদের সামনে এক এক করে|পড়তে থাকুন আর জ্যোতিষ পরামর্শ বা প্রতিকারের জন্য উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে সরাসরি কথা বলুন আমার সাথে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|