শুভ দীপাবলীর শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আজ দীপাবলী। হিন্দি বলয়ে দিওয়ালি। বাংলায় কালী পুজো এবং জ্যোতিষ বা তন্ত্র জগতে দীপান্বিতা। একই তিথি নানা ভাবে উদযাপিত এবং তাদের ব্যাখ্যাও আলাদা আলাদা।
আজ চোদ্দ বছর বনবাসে কাটিয়ে অযোধ্যা ফিরেছিলেন রাম৷ তাই রামচন্দ্রের পথ আলোকিত করতে গোটা দেশ সেজে উঠেছিল আলোয়৷এখানে দীপের সাথে এই উৎসবের অন্য সম্পর্ক।
আবার বাংলায় আজ কালী সাধনার দিন, কারন আজ দীপান্বিতা অমাবস্যা, মা কালী শাস্ত্রমতে শক্তির উপাসকদের দেবী। তার অপর নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি। তন্ত্রশাস্ত্র মতে, তিনি দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত। তন্ত্রমতে পূজিত প্রধান ১০ জন দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী কালী। শাক্তরা কালীকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ মনে করেন।
দীপাবলী ও কালী পুজো দুই আসলে অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয় লাভের প্রতীক, রাম যেমন অশুভ শক্তির প্রতিনিধি রাবনকে হারিয়ে ছিলেন তেমনই দেবী কালী অসুর বধ করে সৃষ্টি রক্ষা করেছিলেন|
আজ এই অমাবস্যা তিথি তন্ত্র সাধনার দিন এই তন্ত্র ও মূলত ব্যবহার হয় অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে, এই অশুভ শক্তি বিশ্বব্যাপি হতে পারে, আমার আপনার জীবন কেন্দ্রিক হতে পারে, বাস্তু সম্পর্কিত ও হতে পারে|
সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় এই উৎসবের আমেজ।
সমগ্র ভারত বর্ষের কাছের আজ আনন্দের দিন।
আজ উৎসবের দিন। আলোর উৎসব।
সবাইকে দীপাবলীর অসংখ্য শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন|ফিরে আসবো আগামী আরো অনেক আধ্যাত্মিক এবং পৌরাণিক বিষয় সংক্রান্ত ধারাবাহিক লেখা নিয়ে।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।