পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আজ পয়লা বৈশাখ শুরু হবে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।এই বৈশাখ মাসের বিশেষ আধ্যাত্মিক তাৎপর্য আছে এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রেও বৈশাখ মাস নানা ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেই সব নিয়েই আজকের পর্বে আলোচনা করবো।তবে প্রথমেই জানাই নব বর্ষের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
বাংলার জমিদারির যুগে পয়লা বৈশাখ মানে ছিলো খাজনা আদায়ের শুরু, নতুন ফসল বেচে কৃষকদের হাতে অর্থ আসতো এবং তারা উৎসবে মেতে উঠতেন আবার ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। চড়কের মেলা চলতো।আরো উৎসবের আয়োজন করা হত। কোথায় গম্ভীরা নাচ কোথাও বর্ষ বরণ উৎসব।
ব্যবসা বাণিজ্যর ক্ষেত্রেও পয়লা বৈশাখের ভূমিকা রয়েছে|তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে|
সনাতন ধর্মে বৈশাখ মাসকে মাধব মাস বা
মধুসূদন মাস বলা হয়।যার অর্থ ভগবান কৃষ্ণের মাস। এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।এই মধুসূদন মাসের
সূচনা হয় আজকের দিন থেকে।
“বৈশাখ” শব্দটি এসেছে বিশাখা নামক নক্ষত্রের নাম থেকে। এই মাসে বিশাখা নক্ষত্রটিকে সূর্যের খুব কাছে দেখা যায়। তাই জ্যোতিষ শাস্ত্রেও এই সময় একটি বিশেষ সময়।
শাস্ত্র মতে সূচনা হোক নতুন বছরের। আজ
সবাইকে জানাই শুভ নববর্ষ।ফিরে আসবো আগামী পর্বে।আগামী কাল থেকে মধুসুদন মাস উপলক্ষে শুরু করবো কৃষ্ণ কথা। থাকবে কৃষ্ণ সংক্রান্ত নানা শাস্ত্রী এবং পৌরাণিক বিষয় নিয়ে আলোচনা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।