শিব তীর্থ – বুধেশ্বর শিব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
শিব তীর্থের আজকের পর্বে লিখবো
বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ছোত্রিশ গড়ে অবস্থিত এক অতি জাগ্রত ও জনপ্রিয় শিব মন্দির নিয়ে যা স্থানীয়দের কাছে বুধেস্বর শিব মন্দির নাম খ্যাত।
ছত্তিশগড়ের বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক শিব মন্দিরগুলির মধ্যে বুধেশ্বর মহাদেব মন্দিরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।ছত্রিশ গড়ের রায়পুরের এই শিব মন্দিরের ইতিহাস প্রায় ছয়শো বছরের পুরনো।বুধেশ্বর মহাদেবের নামকরণ করা হয়েছে এক আদিবাসী দেবতার নামে।
এখানে একটি বহু প্রাচীন জলাশয় আছে। স্থানীয় আদিবাসীদের আরাধ্য দেবতা বুদ্ধদেবের নামানুসারে পুকুরটির নাম বুধতালাব বা বুধ পুকুর। এই পুকুরের পাড়ে একটি শিবলিঙ্গ ছিল এবং তার চারপাশে ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ বাস করত এবং শিবলিঙ্গের চারপাশে সাপগুলি সর্বদা আবৃত থাকত। বুধতালাবের তীরে থাকায় শিবলিঙ্গটির নাম হয় বুধেশ্বর মহাদেব। পরবর্তীতে স্থানীয় আদিবাসিদের উদ্যোগে পুকুরের পাড়ে একটি ছোট মন্দির তৈরি করে শিবলিঙ্গকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বুধেশ্বর মন্দিরে দুশো বছরের পুরনো একটি বটগাছ রয়েছে।এই বট গাছের গোড়াটি অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং বিশেষ কিছু তিথিতে সেখানেও বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়।
মহাশিবরাত্রির সময়ে অসংখ্য ভক্ত এই মন্দির দেখার জন্য ভিড় করেন।মহাশিবরাত্রির সকালে শিবলিঙ্গে ভস্ম আরতি করা হয়।শিব রাত্রিতে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হয় জলাভিষেক এবং সন্ধ্যায় গাঁজা, ধুতুরা অর্পণ করার পাশাপাশি এখানে রূপার সাপ নিবেদন করার রীতি আছে।
আবার শিব তীর্থ নিয়ে ফিরে আসবো পরের পর্বে। এখনো অনেক শিব মন্দির নিয়ে আলোচনা
বাকি আছে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।