কালী কথা – সার্ভিস কালী
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
বাঁকুড়ার সোনামুখীতে আছে এক জাগ্রত কালী মন্দির যে কালী মন্দিরে দেবী কালীর সার্ভিস কালী। শুধু বাঁকুড়া নয় গোটা রাজ্য এমনকি রাজ্যের বাইরেও এই কালী মন্দিরের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কেনো এমন নাম আর কি এই মন্দিরের ইতিহাস সব জানাবো আজকের পর্বে।
আজ থেকে প্রায় বিরাশি বছর আগে স্থানীয় এক পরিবহন ব্যাবসায়ী ব্যবসা সংক্রান্ত নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এবং ব্যবসায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে যখন আর কোনো মুক্তির পথ
পাচ্ছিলেন না তখন তখন তিনি হাজার চেষ্টা তেও যে সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব হচ্ছিল না সেই সমস্যা পুজো দেয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মিটে যায়।দ্রুত এই কালীর মহিমা ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায়, এলাকার কিছু বেকার যুবক যুবতীর চাকরির মনস্কামনাও পূর্ণ করেন দেবী। এর পর থেকেই ওই কালীর নাম লোকমুখে সার্ভিস কালী হয়ে যায়।
চাকরির বাজার যত খারাপ হয়েছে ততোই এই কালী মন্দিরের প্রসিদ্ধি বেড়েছে।জনশ্রুতি এখানে মানত করলেই নাকি চাকরি মেলে।গত বিরাশি বছর ধরে এই বিশ্বাসে ভর করে সার্ভিস কালীর পুজো করে আসছেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর মানুষ।পরবর্তীতে এই কালীর মাহাত্মা বাংলা তথা পার্শ্ববর্তী রাজ্যেও ছড়িয়ে পরে এবং বহু মানুষ আসেন তাদের প্রার্থনা নিয়ে।
মন্দিরের সেবায়েত রা বলেন বিভিন্ন মন্দিরে যেমন শারীরিক সমস্যা বা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আসা মানুষের ভিড় থাকে এই মন্দিরে সাধারণত তা হয়না। এই কালী মন্দিরে কর্ম প্রার্থী বা ব্যবসায়ীরাই বেশি আসেন এবং তাদের বিশ্বাস নিষ্ঠাভরে সার্ভিস কালীর পুজো করলে সার্ভিস কালী চাকরি তথা রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করে দেন। আজ অবধি অসংখ্য মানুষ এই মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে সুফল পেয়েছেন বলে শোনা যায়।
বাংলায় এমন অসংখ্য কালী মন্দির আছে। তাদের নিয়ে আছে অনেক ইতিহাস এবং অলৌকিক সব ঘটনা। আবার পর্বে ফিরে আসবো এমনই এক ঐতিহাসিক কালী মন্দির নিয়ে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।