কালী কথা – নলহাটির কালী পুজো
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
গোটা বাংলার মধ্যে কালী সাধনার ক্ষেত্রে বীরভূম জেলার আলাদা মহাত্ম আছে কারন এই জেলায় রয়েছে সর্বাধিক সিদ্ধপীঠ। আজ এই বীরভূমের নলহাটির এমন এক কালী পুজোর কথা আপনাদের জানাবো যা খুব একটা প্রাচীন নয় এবং মাত্র কিছুকাল আগেই একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বেশ আলোচিত হয়েছিলো।
নলহাটির অন্তর্গত একটি ছোট্ট গ্রাম জুঙ্গল। এই গ্রামে বসবাস করে আচার্য পরিবার। এই পরিবারের এক সদস্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে মা কালীর মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। সেই মতো বাড়িতে মৃত শিল্পী ডেকে মূর্তিও তৈরি করানো হয়। সিদ্ধান্ত হয় গ্রামের মধ্যে প্রাচীন কাল থেকে অবস্থিত একটি বেদিতেই মা কালীর পুজো করা হবে।সেই মতো ব্যবস্থা হয়।
যথা সময়ে মাকালীর মৃন্ময়ী মূর্তি প্রস্তুত হয় কিন্তু মূর্তি বেদিতে তোলার সময়ই চোখে পড়ে আশ্চর্য ঘটনা।দেখা যায় পাঁচ ফুটের মূর্তি গড়া হলেও সেই মূর্তি রাতারাতি ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার হয়ে গিয়েছে।কিভাবে রাতারাতি মূর্তির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলো তা কারুর বোধগম্য হলোনা।স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা একটি অলৌকিক ঘটনা রূপে চারপাশে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লো।
তবে অলৌকিক ঘটনা এখানেই শেষ নয়।পুজোর স্থানের কাছাকাছি পুকুর বলতে বেদির পাশে একটি ছোট্ট জলাশয় ছিলো তাতে জল বেশি ছিলো না তাই ভরা থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়েও চিন্তিত ছিলো এলাকাবাসী।পুজোর কিছু দিন আগেই গ্রামবাসীরা দেখেন সেই পুকুর রাতারাতি জলে ভরে উঠেছে। এসব দেখে গ্রাম বাসীরা সবই দেবীর কৃপা বলে মেনে নেন।
নলহাটি অঞ্চলে এই কালী পুজো বেশ জনপ্রিয়তা পায় এবং বহু দূর দূর থেকে মানুষ এই পুজো এবং সেই অলৌকিক জলাশয় দর্শন করতে আসেন।
এই সব থেকে আরো ঘটনা থেকে আরো একবার প্রমান হয় প্রতিনিয়ত কতো অলৌকিক ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের আসে পাশে। জনশ্রুতি হোক বা আস্থা যেখানে শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস জড়িত
থাকে তাকে অবহেলা করা যায়না।
এমন আরো অনেক কালী পুজোর ইতিহাস নিয়ে চলতে থাকবে কালী কথা। ফিরে আসবো পরবর্তী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।