আজকের বাংলার কালীতে আপনাদের জানাবো মেদিনীপুর জেলা তথা শহরের অন্যতম কালী মন্দির বা শ্মশানকালী মন্দির নিয়ে যা উগ্র তারা মায়ের মন্দির নামেও খ্যাত।
আজ থেকে দেড়শো বছর আগে।তান্ত্রিক পশুপতি মুখোপাধ্যায়ের তন্ত্র মতে তারা মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে এখানে পুজোর সূচনা করেন। সেই পুজোই আজও চলে আসছে।শোনা যায় তারও অনেক আগে এক অজ্ঞাতনাম তান্ত্রিক এখানে শব সাধনা করেছিলেন এবং সেই সময়ে তিনি তান্ত্রিক মতে এক শবের অস্থি সংগ্রহ করে সাধনার জন্য মায়ের মূর্তি তৈরি করে এখানে পুজো শুরু করেন ৷ সেই পরম্পরা পরবর্তীতেও বজায় থাকে।
বর্তমানেও অস্থি দ্বারাই মায়ের মূর্তি তৈরি হয়।
প্রতি বারো বছর অন্তর নবকলবরে এই মূর্তি বিসর্জন দিয়ে নতুন মূর্তি তৈরি হয়। পঞ্চমুণ্ডের আসনে বসে উগ্রতারা মায়ের পুজো করেন বর্তমান পুরোহিতরা সব কিছুই পরিচালিত হয় তন্ত্র মতে।
এই পুজোর বিশেষত্ব হলো এই পুজোয় দেওয়া হয় মায়ের প্রিয় খাবার শোল মাছ পোড়া । এছাড়াও এই প্রতিমার দুই পাশে তাঁর দুই সহচরী সর্বদা বিরাজমান।বারো বছর অন্তর নব কলেবরের সময় শুধু অস্থি রেখে দেওয়া হয় ৷ সেই অস্থি দিয়ে আবার নতুন করে প্রতিমা তৈরি করা হয়।
শোনা যায়।এখানে মা কালী অত্যন্ত জাগ্রত। মন থেকে কোনও কিছু প্রার্থনা করলে মা খালি হাতে ফেরান না।শহর ছাড়াও ভিন রাজ্য থেকে অনেকে আসেন মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে।
বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত কালী পুজো
গুলির ইতিহাস নিয়ে চলতে থাকবে বাংলার কালী।
ফিরে আসবো আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।