শিবের জটায় গঙ্গা কেনো

304

শিবকে নিয়ে রহস্যর শেষ নেই। তার রূপ, তার সাজসজ্জা সবই রহস্যময়। শিবের ত্রিশূল, ডমরু, ব্যাঘ্রছাল, বাসুকি নাগ, ভস্ম সবারই অন্তরনিহিত অর্থ আছে যা নিয়ে আগে অল্পবিস্তর আলোচনা করেছি। শ্রাবনের এই বিশেষ পর্বে আজ শিবের জটায় বিরাজমান চন্দ্র নিয়ে বলবো।শেষে থাকবে একটি বিশেষ উপাচার সেখানেও থাকবে মা গঙ্গার উপস্থিত তাই পুরোটা পড়তে হবে। পুরাণ সূর্য বংশের রাজা ভগীরথ তার পূর্বপুরুষদের কপিল মুনির অভিশাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য মা গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আনার সিদ্ধান্ত নেন এবং এর জন্য কঠোর তপসা করেন । ভগীরথের তপস্যায় খুশি হয়ে মা গঙ্গা পৃথিবীতে আসতে রাজি হলেন।তবে মা গঙ্গা ভগীরথকে বললেন যে পৃথিবীতার এই প্রবল গতি সহ্য করতে পারবেনা এবং পাতালে চলে যাবে।ভগীরথ ব্রহ্মাজীর কাছে গিয়ে তার সমস্যার কথা বলেন।ব্রহ্মাজী ভগীরথকে শিবকে খুশি করতে বললেন।কারন একমাত্র শিবই পারেন এই সমস্যার সমাধান করতে।ভগীরথ কঠোর তপস্যা করে শিবকে খুশি করেন। এরপর শিব তাকে বর দিতে চাইলে তিনি তার সমস্যার কথা বলেন। গঙ্গার বেগে পৃথিবীকে বাঁচাতে ভগবান শিব তখন তার জটায় গঙ্গাকে ধারন করেন। কিন্তু আবার এক সমস্যা দেখা দেয় শিবের জটায় সম্পূর্ণ ভাবে আবদ্ধ হয়ে পরেন গঙ্গাএদিকে তার মর্তে আগমন না হলে ভগীরথের পূর্ব পুরুষরা উদ্ধার পাবেন না তাই তার অনুরোধ শিব তার জটার কিছুটা অংশ খুলে দেন এবং এইভাবে মা গঙ্গা দেবলোক থেকে শিবের হয়েপৃথিবীতে আসেন।ভগীরথের পূর্বপুরুষরা মা গঙ্গার স্পর্শে মোক্ষলাভ করেন।শিবের জটায় গঙ্গা বিরাজমান তাই শিবের আরেক নাম গঙ্গাধর। পবিত্র এই শ্রাবন মাসে তামার ঘটিতে গঙ্গা জল নিন তাতে কাঁচা দুধ মেশান এবং এই মিশ্রণ দিয়ে শিব লিঙ্গের অভিষেক করুন। এতে আপনার পরিবারের অশান্তি ও অভাব অভিযোগ দূর হবে এবং মহাদেবের অসীম কৃপা লাভ করবেন।এই শ্রাবন মাস জুড়ে থাকছে শিব নিয়ে নানা তথ্য। এমন সব পৌরাণিক ঘটনা এবং বিশেষ কিছু শাস্ত্রীয় উপাচার। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।