বিশেষ পর্ব – অমর নাথ রহস্য

198

ভারতের প্রাচীন তীর্থ ক্ষেত্র গুলি অনেক রহস্যগোপন করে রেখেছে নিজের মধ্যে। শুধু ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতা নয়। রয়েছে অনেক ইতিহাস এবংপৌরাণিক কাহিনী। এমনই এক প্রাচীন এবংনানা রকম রহস্য দিকে মোরা অমরনাথ।আজকের পর্বে লিখবো এই অমরনাথ নিয়ে।অমরনাথ গুহার আবিষ্কার সম্পর্কে একটি প্রাচীন জনশ্রুতি আছে। শোনা যায় এক রাখাল একদিন এই পাহাড়ি অঞ্চলে ভেড়া চড়ানোর সময়ে।এক জটাধারী সন্ন্যাসীর দেখা পায় তিনিতাকে কয়লা ভর্তি একটি ব্যাগ দিয়েছিলেন।সেই রাখাল বাড়িতে গিয়ে যখন সেই ব্যাগটিদেখে তখন তার মধ্যে শোনা দেখে চমকে ওঠে । অদ্ভূত ভাবে কয়লা সোনায় পরিণত হয়েছে।সে এই রহস্যর উত্তর পেতে সেই সন্ন্যাসীর সন্ধানে ফিরে যান সেই পাহাড়ে । সন্ন্যাসীকে খুঁজতে গিয়ে তিনি একটি পাহাড়ি গুহা দেখতে পান।তবে সেই সন্ন্যাসী সেখানে ছিলেন না। তখন থেকেই এই স্থানটি তীর্থস্থান হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।সেই গুহাই আজকের অমরনাথ গুহা।অমর নাথে বাবা মহাদেবকে বরফানি বাবানামে ডাকা হয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে বরফ দিয়ে বছরের একটি নিদ্দিষ্ট সময়ে সৃষ্টি হওয়া শয়ম্ভু দেবাদিদেবের উচ্চতা পরিবর্তিত হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বরফানি বাবার উচ্চতা চাঁদের আলোকে কমতে থাকে এবং বাড়তে থাকে। যখন পূর্ণিমা থাকে তখন শিবলিঙ্গ তার পূর্ণ আকারে থাকে। অন্যদিকে, অমাবস্যার দিনে শিবলিঙ্গের আকার কিছুটা কমে যায়।এই শিবলিঙ্গেঅবিরাম তুষার ফোঁটা পড়তে থাকে।যেনো বাবার জলাভিষেক হয়ে চলেছে প্রতি মুহূর্তে।পুরান অনুসারে এই গুহায় ভগবান শিব দেবী পার্বতীকে অমরত্বের গোপন রহস্য বর্ণনা করেছিলেন।প্রতি বছর অমরনাথ যাত্রার সময় পবিত্র গুহায় একজোড়া পায়রা উড়ে এসে বসে। গুহায় শিবলিঙ্গের পাশাপাশি ওই জোড়া পায়রা দর্শন করাও অত্যন্ত শুভ।কিভাবে এবং কেনোপায়রার এই জোড়া এখানে আসে সেই নিয়েএকটি পৌরাণিক কাহিনী আছে।আগেই বলেছি পৌরাণিক কাহিনি মতে অমরনাথের এই পবিত্র গুহায় দেবী পার্বতীকে ভোলেনাথ অমরত্তর রহস্য ব্যাখ্যা করেছিলেন।এই জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছিলো কারন শর্ত ছিলো আর কেউ এই জ্ঞান শুনবে না।তাই নির্জন স্থানে মহাদেব দেবীকে নিয়ে যান।শিব যখন পার্বতীকে এই গোপন জ্ঞানপ্রদান করছিলেন, সেই সময় একই গুহায় একজোড়া পায়রা উপস্থিত ছিল।সেই পায়রা যুগল ও শুনলো জন্ম মৃত্যুর অমোঘ চক্র থেকে মুক্তির পথ সম্পর্কিত নানা কাহিনি।এবং এই কাহিনি শোনার পর জোড়া পায়রা অমরত্ব লাভ করে। সেই দিনের পর থেকে আজ অবধি পবিত্র গুহায় তাদের দেখা যায়।আগামী পর্বে আবার ফিরে আসবো এমনই অদ্ভুত এবং রহস্য ময় কোনো দৈব্য স্থনের অজানা ইতিহাস নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।