গুরু কথা – যোগী রাজ কাঠিয়া বাবা

298

ভারতের সিদ্ধ যোগী দের মধ্যে অন্যতম একটি নাম শ্রী শ্রী রামদাস কাঠিয়া বাবাজি|তিনি আধ্যাত্বিক জগতের সিদ্ধ সাধকদের মধ্যে একজন এবং তার জীবন ও সাধনা আজও তার অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগীর ম্যধ্যে এক রহস্য স্বরূপ|আজকের পর্বে জানাবো কাঠিয়া বাবার জীবন সংক্রান্ত কিছু তথ্য এবং কিছু অলৌকিক ঘটনা।পাঞ্জাবের এক গ্রামে জন্মেছিলেন কাঠিয়া বাবা একবার কৈশোরে মাঠে মহিষ চরাতে চরাতে তিনি একজন উজ্জ্বলকান্তি সাধু পুরুষের দর্শন লাভ করলেন। অভুক্ত সেই সাধুকে তিনি আহার করান সাধু প্রসন্ন হয়ে তাঁকে বরদান করলেন যে, “তুমি যোগীরাজ হবে।” এই বরদান করে সাধু অন্তর্হিত হন।সেই সময় কাঠিয়া বাবাজী মহারাজের মনে হল যেন সংসারের প্রতি তাঁর সমস্ত আসক্তি কেটে গেছে|বড়ো হওয়ার সাথে সাথে সন্ন্যাস জীবন তাকে আকর্ষণ করতে শুরু করে।পরবর্তীতে তিনি পুরোপুরি গৃহ ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক সাধনার পথ বেছে নিলেন শুরু করলেন শাস্ত্র পাঠ ও ধ্যান জপ|খুব কম বয়সে তিনি গায়ত্রীতে সিদ্ধি লাভ করলেন|কথিত আছে স্বয়ং গায়ত্রীদেবী আবির্ভূত হয়ে তাঁকে দর্শন দিয়ে কৃতার্থ করেন|পরবর্তীতে শ্রীশ্রী দেবদাসজী কাঠিয়া বাবাজী মহারাজের সান্নিধ্যে আসেন তিনি যিনি ছিলেন একজন সিদ্ধ মহাপুরুষ|তার কাছে দীক্ষা গ্রহণ করে তিনি।নাম হয় রাম দাস কাঠিয়া বাবা।শুরুর পথ ছিলো খুবই কঠিন।পদে পদেগুরু শিষ্যের কঠিন পরীক্ষা নিতেন|একবার গুরু দেব নির্দেশ দিলেন যে, “যত ক্ষণ না আমি ফিরে আসি তুমি এখানে এই আসনে বসে থাকবে। আসন ছেড়ে অন্য জায়গায় কোথাও যাবে না।” শ্রীরামদাসজী আট দিন একটানা সেই আসনে বসে আহার নিদ্রা প্রকৃতির ডাক উপেক্ষা করে।ফিরে এসে তাঁর গুরু আজ্ঞা পালনের প্রতি এই একনিষ্ঠতা দৃঢ়তা দেখে গুরুদেব খুব প্রসন্ন হলেন এরকম আরো অনেক পরীক্ষা এবং সাধনার নানা স্তর অতিক্রম করে সিদ্ধি লাভ করে প্রকৃত অর্থে যোগিরাজ হয়ে উঠেছিলেন রাম দাস বাবাজি|সারা ভারতের তীর্থ দর্শন করে বৃন্দাবনে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি|নির্বাক সম্প্রদায়ের গুরুদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ট গুরু ও সাধক যার কাছে দীক্ষা নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।আকাশমার্গে বৃন্দাবন থেকে কলকাতায় আগমন করে একজনকে মন্ত্র প্রদান করেছিলেন তিনি একবার তিনি দেহে থাকাকালীন নিজেরই ছবি থেকে বহির্গত হয়ে একজনকে দীক্ষা দিয়েছিলেন।শোনাযায় তিনি এক কালে দুই পৃথক স্থানে ভক্তদের দর্শন দান করতে সমর্থ ছিলেন। শুধু তাই নয় এখনো পর্যন্ত তিনি তার প্রকৃত ভক্তদের দর্শন প্রদান করে থাকেন।একবার কাশীতে মা অন্যেপূর্ণার দর্শন পাওয়ার জন্য কাঠিয়া কাঠিয়া বাবা অন্ন জল ত্যাগ করেন।তিন দিন শুধু ধ্যান জপ করে কাটান। অবশেষেস্বয়ং মা অন্নপূর্ণা তার কুটিরে আবীরভূতা হন। এবং তার জন্য নিয়ে আসা দুগ্ধ পান করিয়ে তার জীবন রক্ষা করেন।এই মহান সাধক ও গুরুকে প্রনাম জানিয়ে আজকের পর্ব শেষ করছি। চলতে থাকবে নানানআধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।