পন্ডিত ভৃগুশ্রী জাতক
বাংলার প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক পুজো গুলির কথা বলতে হলে কিছু রাজবাড়ির পুজোর কথাও বলতে হয়। এমনই এক পুজো শেওড়াফুলি রাজবাড়ির ঐতিহাসিক পুজো। আজকের পর্বে এই পুজোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও একটি অলৌকিক ঘটনার কথা বলবো।
শোনা যায় বর্ধমানের নারায়ণপুরে রাজত্ব করতেন এই বংশের আদি পুরুষরা। মোঘল আমলে স্বয়ং সম্রাট আকবর নাকি তাদের জমি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নদী ভাঙন গ্রাস করেছিল জমিদারি। ভিটে মাটি হারিয়ে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে শেওড়াফুলি এসে বসবাস করতে শুরু করেন তৎকালীন জমিদার।
বর্ধমানে যখন এই জমিদার বংশের গৌরব ময় সময় চলছে তখন গ্রামে পুকুর খনন করার সময় স্বপ্নাদেশ পান জমিদার মশাই । স্বপ্নাদেশ অনুসারে মাটির তলা থেকে পান দেবী দশভূজার অষ্টধাতুর মূর্তি।
পরবর্তীতে শেওড়াফুলির বাড়িতে এসে গৃহ মন্দিরে দেবী দশভূজার মূর্তিকে সর্বমঙ্গলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় তিনশো বছর ধরে সেই প্রতিষ্ঠিত মূর্তিতেই চলে আসছে পুজো । নিত্যপূজা হয় কিন্তু শরতের আকাল বোধন ও বসন্তকালের বাসন্তী পুজো এই মন্দিরের প্রধান উৎসব।
এই বছর অম্বুবাচী প্রবৃত্তি অর্থাৎ শুরু হবে ২২ জুন এবং ২৬ জুন নিবৃত্তিঃ অর্থাৎ সমাপ্তি হবে। আগামী সপ্তাহ জুড়ে দেবী মাহাত্ম এবং মন্দির রহস্যর পাশাপাশি অম্বুবাচি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের জানাবো। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।