দেবী মাহাত্ম : সাধক রাম কানাইয়ের বামা কালীর পুজো

107

সিউড়ির ইন্দ্রগাছা গ্রামের বামা কালী রাম কানাইয়ের কালী নামে সু প্রসিদ্ধ। এই দেবীর পুজোর রয়েছে কিছু অদ্ভুত রীতি নীতি এবং সাধক রামকানাইয়ের অলৌকিক অভিজ্ঞতা এবং তার মাতৃ সাধনা আজও আলোচিত হয় বীরভূমের এই অঞ্চলে। পুরোটা জানতে হলে পড়তে হবে।

শোনা যায়। স্থানীয় হরকুনার গভীর জঙ্গলে সাধনা করতে গিয়ে মায়ের সাক্ষাৎ পান সাধক রামকানাই। মায়ের জীবন্ত সাক্ষাৎ সেই রূপ তিনি থালায় এঁকে নেন। জীবন্ত মায়ের সেই রূপের ছবি দেখে বানানো হয় মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি। পুজোর জন্য লেখেন প্রার্থনার মন্ত্র। যা আজ লোকমুখে রাম কানাইয়ের পুঁথি নামে পরিচিত।

সাধক রাম কানাইয়ের গোপন পুঁথির গুপ্ত
নিয়ম মেনেই পুজো হয় শতাব্দী প্রাচীন ইন্দ্রগাছার কালীর। যে থালায় মায়ের জীবন্ত রূপ দেখে ছবি এঁকেছিলেন, সেই থালা বহু গোপনে সযত্নে রেখে দিয়েছে ইন্দ্রগাছায়। প্রায় ৫০০ বছর ধরে পুজিত হয়ে চলেছেন এই দেবী ।

গায়ের রং চক্ষুদান হয় কালীপুজোর তিথিতে গভীর রাতে তারপর সেই মূর্তি কাঁধে চাপিয়ে গঠন মন্দির থেকে পুজো মন্দিরে নিয়ে আসা হয়।
শতাধিক ভক্তের কাঁধে চড়ে গঠন মন্দির থেকে পূজার মন্দিরে পাড়ি দেযার এই দৃশ্যা দেখতে আসেন বহু মানুষ।প্রায় ১৩ ফুটের এই বামা কালীর মূর্তিকে ৪০ ফুট বড় লাল কাঠের ওপর চাপিয়ে কাঁধে করে নিয়ে আসা হয় মূল মন্দিরে। প্রতিবার দীপান্বিতা অমাবস্যায় পুজোর পর ভাইফোঁটার দিন প্রতিমার বিসর্জন হয়। ৫০০ বছর ধরে চলা এই রীতির আজও কোনও পরিবর্তন হয়নি।

ফিরে আসবো পরের পর্বে দেবী মাহাত্মর নতুন পর্ব নিয়ে। জানাবেন ধারাবাহিক এই আলোচনা আপনাদের কিরকম লাগছে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।