বাংলার কোচবিহার জেলার রাজ আমলে স্থাপিত একটি অন্যতম প্রাচীন মন্দির হল রাজমাতা মন্দির। এই মন্দিরটি কোচবিহার রাজমাতা দীঘির উত্তরে মদনমোহন বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।আজকের পর্বে লিখবো এই প্রাচীন ঐতিহাসিক মন্দির নিয়ে|বর্তমান কোচবিহার জেলার এই অন্যতম প্রাচীন মন্দিরটি কবে স্থাপিত সেটা সঠিক জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুয়ায়ী ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দের অনেক আগে থেকেই এই মন্দিরটির অস্তিত্ব ছিল। যতদূর জানা যায় এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা নরেন্দ্র নারায়ণের জ্যেষ্ঠ রাণী মহারানী নিস্তারিণী দেবী। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই তিনি এটিকে নির্মাণ করেছিলেন।তিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের পরম ভক্ত|প্রায় ১৬৫ বছরের পুরনো এই মন্দির সংরক্ষিত এবং পরিচালিত হয় কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড দ্বারা।বর্তমানে সংস্কারের অভাবে মন্দিরের চারপাশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ, নোনা ধরা দেওয়ালে শ্যাওলা, জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।তবুও এখানে নিত্যসেবা হয় ঠাকুরের। রোজ রোজ ভিড় লেগে থাকে দর্শনার্থীর।রাতে তো কথাই নেই বর্তমানে দিনের বেলাতেও মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলে বেশগা ছম ছমে অনুভূতি হয়|প্রাচীন এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এখানে পূজিত হয়ে আসছেন সত্যভামা রাধারমণ এবং দেবী তারা কালি।মন্দিরটি দক্ষিণ দিকে মুখ করে অবস্থান করছে। এই একতলা মন্দিরটির নির্মাণের মাঝখানে একটি গম্বুজ রয়েছে। এছাড়া এই মন্দিরে রয়েছে মোট তিনটি কক্ষ। নিত্য পুজো হয় এখানে|আজও নিয়ম মেনে প্রতিদিন সোয়া এক কেজি চালের ভোগ দেয়া হয়| এখানে দোল পূর্নিমার দিন বড় পুজো করা হয়। এছাড়াও রটন্তি কালী পুজো এখানে প্রচলিত আছে এবং দিপান্বিতা কালী পুজোরসময় বিশেষ পুজো করা হয় রাতে।আগামী পর্ব থেকে শুরু করবো নতুন বছরের রাশি ফল তার পর আবার যথা সময়ে ফিরে আসবো আপনাদের জন্য মন্দির রহস্য নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|