পুরীর দরিয়া বা বেড়ি হনুমান মন্দিরের রহস্য

189

বাঙালির বড়ো প্ৰিয় এবং অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থ ক্ষেত্র হচ্ছে শ্রীক্ষেত্র পুরী|আমি নিজে কতবার যে গেছি তার হিসেব নেই |পুরীতে আছে এক অদ্ভুত বজরংবলীর মন্দির যা বেড়ি হনুমান বা দরিয়া হনুমান নামে খ্যাত|আজ মন্দির রহস্য পর্বে সেই বেড়ি মন্দিরের কথাই আপনাদের জন্য লিখছি |যারা পুড়িতে গেছেন তারা নিশ্চই জানেন পুরী ধামে চক্রতীর্থের কাছে বেড়ি হনুমান মন্দির অবস্থিত।শ্রীজগন্নাথদেব হনুমানকে পুরীধাম রক্ষায় নিয়োজিত করেন। কেননা কখনও কখনও সমুদ্রের ঢেউ পুরীতে প্রবেশ করত এবং পুরীবাসীকে ভুগতে হত। সেজন্য জগন্নাথদেব এখানে পাহারায় হনুমানকে নিযুক্ত করেন, যাতে সমুদ্র পুরী শহরে প্রবেশ করতে না পারে।বজরংবলী হনুমান পুরীতে দ্বার রক্ষক এবং জগতের নাথের ইচ্ছায় তিনি শ্রীক্ষেত্রর সুরক্ষার দায়িত্বে আছেন|পুরীর এই মন্দিরে হনুমানের মূর্তি একটি বেড়ি দিয়ে আবদ্ধ করা হয়েছে।তার ও একটি কারন আছে|পুরান অনুসারে একবার হনুমানের অযোধ্যা পরিদর্শনের জন্য ইচ্ছা হল এবং পুরীধাম পাহারার দায়িত্ব ফেলে ঐ স্থান ত্যাগ করে হনুমান অযোধ্যা গেলেন। ফলে সমুদ্রের জল শহরে প্রবেশ করল এবং শহরবাসীর খুব ভোগান্তি হলো । শ্রীজগন্নাথদেব হনুমানকে অযোধ্যা থেকে ফিরিয়ে আনলেন। তাঁকে এখানে বেড়ি দিয়ে আবদ্ধ করে রাখলেন এবং তাঁকে আজ্ঞা দিলেন যে, কখনও যেন সে এই স্থান ছেড়ে না যায় এবং দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করে।বেড়ি দিয়ে বা শৃঙ্খল দিয়ে আবদ্ধ করার জন্য বজরংবলীকে এখানে বেড়ি হনুমান বলা হয়|যেহেতু হনুমান পুরী ধামকে মহাসাগর বা দরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে দরিয়ার নিকটে অবস্থান করছে, সেজন্য তিনি দরিয়া হনুমান নামেও খ্যাত।যারা তীর্থ করতে পুরীতে আসেন তারা জগন্নাথ দর্শনের পাশাপাশি বেড়ি হনুমান দর্শন করতে ভোলেন না|আগামী পর্বে যথা সময়ে আবার ফিরে আসবো অন্য কোনো মন্দিরের রহস্য নিয়ে|পড়তে থাকুন |ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|