রাসপূর্ণিমার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা

512

আজ সনাতন ধর্মের তথা সারা বিশ্বের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, রাস উৎসব বা রাস পূর্ণিমা|আক্ষরিক অর্থে রাস শব্দের আরেক অর্থ অনেকের সঙ্গে একসঙ্গে আনন্দঘন নৃত্যবিশেষ|যদিও রাস শব্দর উৎপত্তি হয়েছেন ‘ রস’ শব্দ থেকে, এখানে রস মানে আনন্দ, দিব্য অনুভূতি, দিব্য প্রেম বা ভক্তি রস|বাংলায় চৈতন্যদেব রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসবের সূচনা করেছিলেন নবদ্বীপে|পুরান মতে রাস মূলতঃ শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। ভগবান কৃষ্ণ কার্তিক মাসের এই পূর্ণিমাতেই বৃন্দাবনে রাধা-সহ সখীদের মেতেছিলেন রাসলীলায়, সেই তিথিকেই পালন করা হয়, রাস পূর্ণিমা রূপে,অনেকে মনে করেন, ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস, চীরহরণের’ পর গোপীদের সঙ্গে শ্রী কৃষ্ণর এই লীলা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বৃন্দাবনে, গোপীরা অধীর অপেক্ষা করছিলো কবে শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে, তাদের ডাক আসবে, অবশেষে এই পূর্ণিমা তিথিতে কৃষ্ণ তাদের সেই আশা পূর্ণ করেন রাস নৃত্যর মাধ্যমে, একদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই উৎসব ভক্ত ও ভগবানের মিলন উৎসব|শ্রীমদ্ভাগবতে একটি বিশেষ অংশ হল রাসলীলা।বিশেষ এই তিথি আরো বিশেষ হয়ে ওঠে যখন রাস পূর্ণিমার সাথে যুক্ত হয়|গ্রহন|এবারের রাস পূর্ণিমা টাই জ্যোতিষ ও তন্ত্র জগতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ|শাস্ত্রে মতে এই তিথিতে রাস উৎসব পালন করুন|রাধাকৃষ্ণর একত্রে পুজো করুন এবং নিজের মনোস্কামনা জানান|যদি পারেন আজকের তিথিতে রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহের উদ্দেশ্যে বাঁশি, ময়ুরের পালক অথবা দোলনা নিবেদন করুন|এই দিন গঙ্গা স্নান ও স্বাত্তিক আহার করতে পারলে আরো ভালো হয়|সব রকম তামসিক অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন|সবাইকে জানাই রাস পূর্ণিমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ফিরে আসবো আগামী পর্বে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|