পুরানকথা – হনুমানের বিয়ে

459

আজ পুরান কথায় শাস্ত্র থেকে হনুমানজির জীবনের একটি বিশেষ ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো|অনেকেই মনে করেন বজরংবলী ব্রহ্মচারী, অবিবাহিত| একথা আংশিক সত্য,পুরান অনুসারে হনুমান বিবাহিত এবং তার সন্তানও রয়েছে|আবার তিনি ব্রহ্মচারী এবং সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীও বটে! কিকরে সম্ভব?সূর্যদেব ছিলেন হুনুমানের শিক্ষক, তিনি নয়টি ব্যাকরণ সূত্রের নবনিধীর শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নবম সূত্রটি কেবল মাত্র বিবাহিত দের জন্যে তাই বিবাহ করা বাধ্যতামূলক ছিলো|এই কারনে শিবের আশীর্বাদে শুভ্রলা নামে একটি কন্যা সৃষ্টি হয় এবং হনুমানের সাথে তার বিবাহ হয় ও বিবাহের পরের মুহূর্তেই শুভ্ৰলা অদৃশ্য হয়|এই ভাবে বিবাহিত হয়েও ব্রহ্মচারী রয়ে গেলেন হনুমান|অন্ধ্রপ্রদেশের একটি মন্দিরে হনুমান তার স্ত্রী শুভ্ৰলার সাথে একত্রে পূজিত হন|এবার আসি হনুমানের পুত্রের বিষয়ে, হ্যাঁ তার একটি পুত্র ছিলো যার জন্ম হয়ে ছিলো অদ্ভুত ভাবে, লঙ্কা অভিযানের সময়ে হনুমানের শরীরের এক ফোঁটা ঘাম পড়েছিলো সমুদ্রে এই ঘামের বিন্দু থেকে জন্মান হনুমান পুত্র মকরধজ|এমন আরো অনেক পৌরাণিক জানা অজানা তথ্য নিয়ে আমি আসবো আপনাদের সামনে আগামী দিনে|চলতে থাকবে পুরান কথা|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|নমস্কার|