শিব ভূমি – এক্তেশ্বর শিব মন্দির

549

আজ বাংলার মন্দির নগরী বা বিষ্ণুপুরের কাছেই বাঁকুড়ার একটি প্রসিদ্ধ শিব মন্দির নিয়ে লিখবো|এই মন্দিরে স্থাপিত শিব এক্তেশ্বর নামে খ্যাত|এই মন্দির ও শিব লিঙ্গ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অসংখ্য লোককাহিনী ও অলৌকিক ঘটনা|প্রাচীনকালে এই অঞ্চলে যে জনগোষ্ঠী বাস করতো তাঁরা নিজেদের সূর্যের সন্তান বলে প্রচার করতেন। এই আদিবাসীরা ছিলেন একেশ্বরবাদী অনেকে মনে করেন একঈশ্বর থেকে এক্তেশ্বর নামটি সৃষ্টি হয়েছে|বর্তমানে বাঁকুড়া শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দ্বারকেশ্বর নদের বাম তীরে এই প্রাচীন শিব মন্দির অবস্থিত|একটি প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজার সঙ্গে ছাতনার সামন্তভূমের রাজার রাজ্য সীমানা নিয়ে বিবাদ চরম আকার নিলে তার মীমাংসা করতে আসেন স্বয়ং শিব পরবর্তীতে বিবাদিত অঞ্চলের সীমানার সংযোগস্থলে একতার প্রতীক হিসেবে এই এক্তেশ্বর মন্দির স্থাপিত হয়|এক্তেশ্বরে পাথরের শিব মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। এটি পশ্চিমমুখী|মন্দিরের কুণ্ডের মধ্যে যে শিবলিঙ্গটি রয়েছে সেটি নাকি দেখতে অনেকটা মানুষের পায়ের মতো এবং শিব লিঙ্গটি কিছুটা বাঁকা ভাবে অবস্থান করছে|অনেকে মনে করেন এই কিঞ্চিৎ বাঁকা শিবলিঙ্গ থেকেই বাঁকুড়া নামের উৎপত্তি|শুধু বাঁকুড়া বা বাংলা নয় সারা বিশ্বের শিব ভক্ত দের কাছে একটি প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্র এই এক্তেশ্বর শিব মন্দির|আজও ফাল্গুন মাসে, শিব চতুর্দশী তিথিতে এক্তেশ্বর মন্দিরে শিবরাত্রি উৎসব উপলক্ষে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়।শিবরাত্রিকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে|আবার আগামী পর্বে অন্য কোনো প্রাচীন শিব মন্দিরের কথা নিয়ে ফিরে আসবো|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|