দেবী লক্ষীর আটটি রূপ

900

দেবী লক্ষীর আটটি ভিন্ন রূপ আছে যা একত্রে অষ্ট লক্ষী নামে পরিচিত|আজকের পর্বে এই আটটি রূপ ও তার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবো|

১. আদি লক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মী — তিনি বিষ্ণুপ্রিয়া। বিষ্ণুর সঙ্গেই তিনি চিত্রিত হন।আদি লক্ষী বা মহা লক্ষী হলো আদিরূপ মা লক্ষীর। এই মা লক্ষী হলেন অফুরন্ত ধনসম্পদের অধিষ্ঠাত্রী| 

২. ধনলক্ষ্মী বা ঐশ্বর্য্যলক্ষ্মী — সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী।এই দেবীর ছটি হাত এবং মূলত লাল শাড়িতেই অধিষ্ঠাত্রী। প্রতিটি হাতে থাকে একে একে চক্র, শঙ্খ, একটি ঘটে বা পবিত্র কলসি, তীর ধনুক এবং একটি পদ্ম। সর্বশেষ হাতটি অভয় মুদ্রার ন্যায় রাখা এবং তা থেকে সোনার মোহর বা মুদ্রা বের হয়।

৩.ধান্যলক্ষ্মী— শস্যর দেবী।শস্য ভালো হয়
আর্থিক কষ্ট লাঘব হয় এই রূপের পুজো করলে|এই দেবী খাদ্যশস্যএর প্রতীক। দেবীর এক হাত চাষের জমির শস্য সম্পদের আশীর্বাদ স্বরূপ রয়েছে এবং আরেক হাতে থাকে মানব জীবনের প্রয়োজনীয় পুষ্টিদায়ক শস্যের সমাহার। এই দেবীর পরনে থাকে শস্যের রঙের সবুজ শাড়ি|

৪. গজলক্ষ্মী— গজ বা হাতির সঙ্গে তাঁকে কল্পনা করা হয়। ব্যক্তির শ্রীবৃদ্ধি ঘটে তাঁর কল্যাণে|। এই দেবী হাতির ওপর সরাসরি অধিষ্ঠাত্রী না হলেও, তার চারিদিক আবর্ত থাকে হাতি দ্বারা। রাজকীয় ধন সম্পদের প্রতীক এই দেবী। কথিত আছে সমুদ্র মন্থন কালে ভগবান ইন্দ্রের হারিয়ে যাওয়া ধন সম্পদ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই দেবী|

৫. সন্তানলক্ষ্মী— সন্তানভাগ্য নিরূপণ করেন এই দেবীরূপ। ভালো সন্তান লাভ হয় এই দেবী সন্তুষ্ট হলে|

৬. বীরলক্ষ্মী— সাহসদাত্রী দেবী।সাহস ও আত্মবিশ্বাস যোগান|এই দেবীর আরাধনা মনের শক্তি, ধৈর্য্য যোগায়, যা জীবনের কঠিন ও ভালো সময়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার শক্তিও যোগায়|

৭. বিদ্যালক্ষ্মী—বিদ্যা লক্ষী জ্ঞানের দেবী। বিদ্যা লাভ হয় এই দেবীর পূজায়|বিদ্যার প্রতীক এই দেবী। সরস্বতী ঠাকুরের মতোই এই দেবী পদ্মের ওপর সাদা শাড়িতে অধিষ্টাত্রী হন|

৮. বিজয়লক্ষ্মী বা জয়লক্ষ্মী— ইনি বিজয়ের অধিষ্ঠাত্রী|বিজয় লাভ হয় এই দেবীর আশীর্বাদে|
এই দেবী সর্বদা বিজয়এর প্রতীক স্বরূপ। কোনো সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে বা বলা সাফল্য পেতে এই দেবীর পূজা হয়ে থাকে|

অর্থাৎ দেবী লক্ষীর এই প্রতিটি রূপের নিজস্ব ব্যাখ্যা ও পুজোর উদ্দেশ্য রয়েছে|আপনাদের সবাইকে কোজাগরী লক্ষী পুজোর অনেক শুভেচ্ছা