আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বর্তমান সময়টি বেশ তাৎপর্য পূর্ণ আগামী 12 ই জুলাই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং রথের ঠিক আগেই আগামী 9 তারিখ শুক্রবার রয়েছে অমাবস্যা|
একদিকে রথ যাত্রা যেমন যেকোনো শুভ কাজের সূচনার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি অন্যদিকে যুগ যুগ ধরে জ্যোতিষ ও তন্ত্রে শাস্ত্রে অমাবস্যা তিথির গুরুত্ব অপরিসীম|আজকের পর্বে ব্যাখ্যা করবো জ্যোতিষ ও তন্ত্র জগতে কেনো অমাবস্যা এতো গুরুত্বপূর্ণ|
প্রথমে জানা দরকার এই অমাবস্যা তিথি কি|শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ এক মাসের দুটি অংশ রয়েছে। শুক্লপক্ষে চন্দ্রের শিল্পকলা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ চন্দ্র বৃদ্ধি পায়। কৃষ্ণপক্ষের চন্দ্র বক্ররেখা এবং অমাবস্যায় সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়। চাঁদের ষোলটি কলার মধ্যে ষোড়শ শিল্পকে অমা বলা হয়। তাই এই তিথি অমাবস্যা নামে পরিচিত।
স্কন্দ পুরাণ অনুসারে অমাবস্যা সংক্রান্ত একটি শ্লোকে বলা হচ্ছে|
‘আমা শোভাগইন দেবী প্রক্ত মহাকাল
সংস্থিতা পরমা মায়া দেহিনাম দেহধারিনী।’
এই শ্লোক অনুসারে, আমা চাঁদ দ্বারা উপাসনা করা হয়, এটি চাঁদের সমস্ত ষোলো কলার শক্তি অন্তর্ভুক্ত করে। এই শিল্প ক্ষয় এবং উত্থান হয় না। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে যখন সূর্য ও চাঁদ কোনও কোনও রাশিতে থাকে, তখন অমাবস্যা তিথি সৃষ্টি হয়|
শাস্ত্রে অমাবস্যা তিথির কর্তা পিতৃদেব বলে বিশ্বাস করা হয়। সুতরাং, অমাবস্যায় পিতৃগণের সিদ্ধির জন্য তর্পণ, শ্রদ্ধা কর্ম ও দান করা গুরুত্বপূর্ণ। অমাবস্যায় পবিত্র নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভের সম্ভাবনা। এছাড়া যেকোনো তন্ত্রের কাজ এবং শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডন এই সময়ে করলে তা অনেক বেশি সফল এবং কার্যকর হয়|শাস্ত্র মতে যেকোনো রকম প্রতিকার ধারণের জন্যে এই সময় শ্রেষ্ট সময়|
প্রতিটি অমাবস্যায় যেমন আপনাদের মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার মন্দিরে বিশেষ পুজো হোম যজ্ঞ ও শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডনের সু ব্যবস্থা থাকে এই অমাবস্যা তেও তার ব্যাতিক্রম হবেনা|আপনারা নিজেদের ভাগ্যবিচার ও গ্রহদোষ থেকে মুক্তি পেতে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়কে কাজে লাগাতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ