ফলহারিনী অমাবস্যা যত এগিয়ে আসছে, পেশা গত ব্যাস্ততা ততো বাড়ছে, সেটাই স্বাভাবিক কারন বহু মানুষ এখন থেকেই এই অমাবস্যা তিথীতে নিজেদের গ্রহদোষ খণ্ডনের জন্যে যোগাযোগ করছেন , অন্যদিকে মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে বিশেষ পুজো ও হোম যজ্ঞর আয়োজন এখন থেকেই প্রায় শুরু হয়ে গেছে|এতো কিছুর মাঝে আজ আরো একটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরের কথা নিয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত|আজকের পর্বে বালুরঘাটের বুড়িমা|
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অবস্থিত এই প্রাচীন কালী মন্দির,ভক্তরা কেউ কেউ এখানে দেবীকে বুড়ামা বা বুড়ি মা কালী বলেও ডাকেন। অনেকে বলেন সতীর একান্ন পীঠের একটা গুপ্ত পীঠ হলো বালুরঘাটের এই বুড়িমা কালী মন্দির।
মাটির কোনও প্রতিমা নয় দেবী এখানে স্বয়ংভূ। কালো প্রস্তর খণ্ডকেই এখানে মা রূপে পুজো করা হয়ে থাকে।
মন্দির সৃষ্টির সাথে জড়িয়ে আছে এক অলৌকিক ঘটনা, কথিত আছে, বহু বছর আগে জনৈক এক বাসিন্দার গাভী হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরেও সেটিকে পাওয়া যায় না। পরে বৃদ্ধারূপী মা কালী তাঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে নির্দেশ দেন আত্রেয়ী নদী পাড়ের জঙ্গলে গিয়ে খুঁজতে। তাঁর দেখানো দিক-নির্দেশ অনুযায়ী সেই ব্য়ক্তি যান। গিয়ে দেখেন, জঙ্গলের ভিতর বালির মধ্যে পড়ে থাকা একটি পাথরের খণ্ডকে গরুটি নিজে থেকে দুধ ঝরিয়ে স্নান করিয়ে দিচ্ছে। এর পরেই তিনি পাথরটি স্বযত্নে এনে আত্রেয়ীর পাড়েই সেটিকে প্রতিষ্ঠা করে মা বুড়িমা কালীর পুজো শুরু করেন।
কয়েকশো বছর ধরে পূজিতা হয়ে আসছেন অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা বুড়িমা কালী। ৩৬৫ দিন সকাল সন্ধ্যে দেবীর পূজা হলেও মূল পূজা কার্তিকী অমাবস্যার রাতেই হয়ে থাকে। কার্তিকী অমাবস্যার রাতে বুড়ামা কালী মন্দিরে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিটি বিশেষ তিথিতেই বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই উপলক্ষে দেবীকে সোনার গহনা দিয়েই সাজানো হয় এবং রুপো-চাঁদির বাসনে পুজোর ভোগ নিবেদন করা হয়|
সারাবছরই আমি আপনাদের সামনের বিভিন্ন কালী মন্দির ও কালী পুজো নিয়ে নানা তথ্য নিয়ে আসি,তাই এই ফল হারিনী অমাবস্যার পবিত্র সময়েও সেই পরম্পরা বজায় থাকবে|যারা আমার পোস্টে কমেন্ট করে আসন্ন অমাবস্যার বিশেষ পুজো, গ্রহদোষ খণ্ডন বা কোনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করছেন তাদের জানিয়ে রাখি পেশাগত ভাবে আমি সর্বদা এই কাজে লিপ্ত আছি, বিস্তারিত জানতে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ করে নেবেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|