নমস্কার, মন্দির রহস্যর আজকের পর্বে আপনাদের স্বাগত|আমাদের এই দেশে এমন হাজারটা মন্দির আছে যা অপার রহস্য ও মহিমায় ভরা। তার মধ্যে থেকে বেশ কিছু মন্দির পুরানের পাতা থেকে খুব বেশি প্রকাশ্যে উঠে আসেনি জনমানসে|এমনই কিছু রহস্যময় প্রাচীন মন্দির নিয়ে লিখছি এই ধারাবাহিকে, আজ উত্তরা খন্ডের ত্রিযুগী নারায়ণ মন্দির|
এই মন্দির সবথেকে বেশি যে কারনে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো এই মন্দির শিব ও পার্বতীর বিবাহের স্থান, হ্যাঁ শাস্ত্র মতে এইখানেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে ছিলেন পার্বতী ও দেবাদিদেব মহাদেব|মন্দিরে ঢোকার মুখেই রয়েছে বহ্মশিলা। ঠিক এই স্থানেই তাদের বিয়ে হয় বলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন।মন্দিরে ঢোকার মুখে রয়েছে একটি অনন্ত কাল ধরে জ্বলতে থাকা দীপ। মনে করা হয় এই দ্বীপকে সাক্ষী মেনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শিব-পার্বতী।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯৮০ মিটার উঁচুতে,উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় রয়েছে এই ত্রিযুগী নারায়ণ মন্দির|এই মন্দিরের নির্মাণ শৈলী এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে|মন্দির প্রাঙ্গণে চারটি পুকুর রয়েছে|অভ্যন্তরে রয়েছে শিব-পার্বতীর মূর্তি|এছাড়া এই মন্দিরে রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর রুপোর একটি মূর্তি। সঙ্গে দেখতে পাবেন লক্ষ্মী, সীতা, রাম ও কুবেরের মূর্তিও|
যুগ যুগ থেকে বিবাহিত দম্পতিরা ছুটে আসেন এই মন্দিরে,তাদের বিশ্বাস এই মন্দিরে পুজো দিলে ও শিব এবং পরবর্তীর আশীর্বাদ পেলে তাদের জীবনের সব সমস্যা মিটে যাবে এবং সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে|আপনারাও চাইলে সময় সুযোগ বুঝে ঘুরে আসতে পারেন|আপাতত প্রয়োজন ছাড়া বেরোবেন না|সুস্থ থাকুন|জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে অনলাইন সমাধান পেতে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|
ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|