বাংলার কালী – বাঘ রুপী কালী

469

কলকাতা ও পার্শবর্তী জেলার কিছু প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরের কথা আগেই লিখেছি, লিখেছি সেই সব মন্দিরের সেহে জড়িত অনেক অলৌকিক ঘটনা|এই পরম্পরাকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যাবো এই বাংলার কালী শীর্ষক ধারাবাহিক লেখার মাধ্যমে|লিখবো গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু জাগ্রত কালী মন্দির ও তাদের অজানা কথা|আজকের পর্বে কান্দির ব্যাঘ্ররুপী কালীর মন্দির|

নামটি শুনতে অবাক লাগতে পারে তবে প্রায় হাজার বছর ধরে মুর্শিদাবাদের কান্দির দোহালিয় গ্রামে পুজো হয়ে আসছে ব্যাঘ্ররূপী দক্ষিণাকালীর। এই মন্দির ও দেবীর রূপ নিয়ে রয়েছে অনেক গুলি জনশ্রুতি|

কথিত আছে অন্য এক অন্ধ পরিব্রাজক সাধক এই কালী মন্দিরের গাছের তলায় তপ্যসা করছিলেন। তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দক্ষিণাকালী তাঁকে দেখা দেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণাকালীর আশীর্বাদে পরিব্রাজক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান এবং লোক মুখে ছড়িয়ে পরে এই কালী মন্দিরের নাম|

কালী পুজোকে কেন্দ্র করে একটি অদ্ভুত প্রথা রয়েছে এখানে,কালীপুজোর রাতে দোহালিয়া গ্রামে অন্য কোনও পুজো হয় না। গ্রামের এই একটি মন্দিরেই কেবল পুজো হয়|এখানে মা কালী বাঘ রূপে বিরাজিতা।

আগে এই গোটা এলাকা জঙ্গল ছিল। তার মধ্যেই ছিল মন্দিরটি,শোনা যায় বল্লাল সেনের আমলে এখানে এক সন্ন্যাসী ধ্যান ভঙ্গ হওয়ার পর দক্ষিণাকালীর এই মূর্তি দেখতে পান। সেই থেকে এখানে পুজো চলে আসছে ব্যাঘ্ররুপী মা কালীর|

আজও কতইনা না রহস্য লুকিয়ে আছে বাংলার অসংখ্য প্রাচীন কালী মন্দিরগুলিতে|ফিরে আসবো পরের পর্বে অন্য কোনো রহস্যময় কালী মন্দির নিয়ে|পরুন, অনুষ্ঠান দেখুন|নিরাপদে থাকুন আর প্রয়োজনে অবশ্যই যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|