শক্তি পীঠ – নোয়াজনি
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
একান্নটি প্রধান শক্তি পীঠের পাশাপাশি। একাধিক শাস্ত্রে বেশ কিছু উপপীঠ এবং গুপ্ত পীঠের উল্লেখ আছে। যেসমস্ত স্থানে দেবীর বস্ত্র বা অলংকার পড়েছিলো সেগুলি উপ পীঠের মর্যাদা পায়
শিবচরিত গ্রন্থে এই ৫১টি শক্তি ক্তিপীঠ ছাড়াও রয়েছে ২৬টি উপপিঠের উল্লেখ।এমনই
একটি উপপীঠ শান্তি পুরের নোয়াজনি মন্দির।
শাস্ত্র মতে এখানে দেবী সতীর হাতের নোয়া পড়েছিলো।নোয়া থেকেই দেবীর নাম নোয়া জনি।নোয়াজনি মাতার পিঠ অত্যন্ত প্রাচীন এবং গুরুত্ব অপরিসীম।
শোনা যায় শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের গুরু, তোতাপুরী বাবা আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশ বছর আগে সাধনা করতেন এই পিঠে। সেই সময়ে এই অঞ্চলে গভীর বনের মধ্যে ছিল একটি শ্মশান।
দিনের বেলায় থাকতো অন্ধকার। ডাকাত এবং বণ্য জন্তু দাপিয়ে বেড়াতো এই স্থান।
আবার এও শোনা যায় ঘন জঙ্গলের মধ্যে সতীর উপপীঠ নোয়াজনি মাতার মন্দিরের কাছে এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস ছিল এবং তাদের আরাধ্য প্রকৃতি দেবী ছিলেন ঈশ্বরী নোয়াজনি মাতা। এখানে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রস্তর খণ্ডকেই দেবী রূপে পুজো করা হয়।তাছাড়াও মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি মনসা আর শিব মন্দির।
এককালে ধুনি জ্বালিয়ে এখানে সাধনা করতেন নাগা সন্ন্যাসীরা। কিছুদিন পুজো পাঠ করে আবার তারা চলে যেতেন নিজেদের রহস্যময় জগতে।
বহু তন্ত্র সাধকের সাধনস্থল ছিলো এই
নোয়াজনি মন্দির সংলগ্ন স্থান।
ফিরে আসবো অন্য একটি শক্তিপীঠের ইতিহাস এবং তার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা এবং তাৎপর্য নিয়ে। পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
