জগদ্ধাত্রী পুজো এবং চন্দননগর

16

জগদ্ধাত্রী পুজো এবং চন্দননগর

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

বর্তমানে সারা বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর জনপ্রিয়তা বাড়লেও চন্দন নগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আলাদা খ্যাতি এবং ইতিহাস আছে। আজও অনেকের কাছেই জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই হুগলীর চন্দন নগর।আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর সাথে চন্দনগরের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

 

একটা মতানুসারে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী।তিনি ছিলেন  ফরাসি সরকারের দেওয়ান। জনশ্রুতি অনুসারে, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো দেখে ইন্দ্রনারায়ণ মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি তার ইচ্ছে ছিলো নিজের জমিদারিতে গিয়ে এমন জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করবেন।

 

কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেনএই ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তার হাত ধরেই রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের শুরু করা জগদ্ধাত্রী পুজো চন্দননগরে পাকাপাকি স্থান করে নেয় এবং ক্রমেই এই অঞ্চলের প্রধান পুজো এবং উৎসবের রূপ নেয়।

 

অন্য একটি মত অনুসারে চন্দননগর নয়, ভদ্রেশ্বরে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়েছিল। আনুমানিক ১৭৬২- সাল নাগাদ মহারাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের দেয়ান দাতারামের এক বিধবা মেয়ে তাঁর বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন এবং সেটাই সম্ভবত এই জেলার জগদ্ধাত্রী পুজো।

 

আবার নবাবী আমলে কৃষ্ণনগরের সঙ্গে সেকালের ফরাসডাঙা বা চন্দননগরের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। নদীপথে এই বাণিজ্য চলত। কৃষ্ণনগরের চাল ব্যবসায়ীরা ফরাসডাঙ্গায় আসতেন বাণিজ্য করতে অনেকে মনে করেন সেই ব্যাবসায়ীদের হাত ধরেই হুগলীতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়।

 

শুরু যেভাবেই হোক। আজ চন্দন নগরের জগদ্ধাত্রী পুজো এবং সেই উপলক্ষে আলোক শিল্প গোটা রাজ্যে জনপ্রিয় এবং সমাদৃত।

 

ফিরে আসবো ধারাবাহিক লেখনী নিয়ে আবার

আগামী পর্বে। থাকবে আরো অনেক তথ্য। পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।