বাংলায় দুর্গা পুজোর বিবর্তন

108

বাংলায় দূর্গাপুজোর বিবর্তন

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আর কিছুদিন পরেই বাংলা তথা সারাদেশে পালিত হবে দূর্গাপুজো|যে দূর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে আমাদের এতো আবেগ এতো তোড়জোড় আজ সেই দূর্গা পুজোর শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা এবং এবং বঙ্গে এই পুজোর বিবর্তন কিভাবে হয়েছিলো তা

নিয়ে লিখবো|

 

পুরান অনুসারে যখন মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়ে দেবতারা শ্রীবিষ্ণু ও মহাদেবের কাছে সাহায্যের জন্য উপস্থিত হন। প্রবল পরাক্রমশালী মহিষাসুরকে বধ করার জন্য সকল দেবতার তেজ থেকে এক অপূর্ব নারীর সৃষ্টি হয়।এই নারীই দেবী দূর্গা|সকল দেবতারা তাঁকে নিজেদের অস্ত্র ও অলংকার দিয়ে সজ্জিত করেন। এই নারীই মহিষাসুরকে যুদ্ধে আবাহন করেন। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ত্রিশূল দিয়ে গেঁথে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। শুধু মহিষাসুর নয়, মধু কৈটভ, শুম্ভ-নিশুম্ভকেও পরাজিত করেন দেবী দূর্গা|

 

আবার তন্ত্র শাস্ত্ররা সাথেও দেবী দূর্গারা গভীর সম্পর্ক আছে।শাস্ত্র মতে সতী বা দেবি দূর্গার দশ হাতে আছেন দশ মহাবিদ্যা । এই দশমহাবিদ্যার উপর ভিত্তি করেই অনেকটা তন্তশাস্ত্র গড়ে উঠেছে।

 

আবার বঙ্গে দেবীদুর্গার রূদ্র রূপের চেয়ে সৌম স্নিগ্ধ রুপী বেশি জনপ্রিয়। যদিও দেবী অসুর নিধন করছেন। তবু তিনি ঘরের মেয়ে। এক্ষেত্রে তাঁর মর্তে আসাকে স্বামীর গৃহ থেকে পিতার গৃহে আসার সাথে তুলনা করা হয়।

 

বাংলারা বনেদি জমিদার বাড়ি গুলোতেই একসময় দূর্গা পুজো সীমাবদ্ধ ছিলো। তার ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারন ছিলো যথেষ্ট। ধীরে ধীরে নানা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়ে দুর্গাপুজো বারোয়ারী পুজোর রূপ নেয়। তবে আজও আদি অকৃত্তিম এবং শাস্ত্র সম্মত দুর্গাপূজা দেখতে হলে পুরোনো পারিবারিক পুজো গুলো দেখতে হয়।

 

আজ শুধু ভূমিকা করলাম।পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো।শুরু করবো সেই দুর্গাপূজারা বিবর্তনের ইতিহাস সাথে থাকবে নানা বনেদি বাড়ির পুজোর বর্ণময় ইতিহাস এবং নানা ঐতিহাসিক ঘটনা। ধারাবাহিক এই লেখনী আপনাদের আশা করি ভালো লাগবে। পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।