বৈকুণ্ঠ পুরের অম্বুবাচী উৎসব

26

বৈকুণ্ঠ পুরের অম্বুবাচী উৎসব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শুধু আসাম বা কামাখ্যা নয়। বাংলার বৈকুণ্ঠ পুরে বহু কাল ধরে অম্বুবাচী উৎসব পালন হয়। এই পুজোর রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য এবং ইতিহাস। আজকের পর্ব এই পুজোর ইতিহাস নিয়ে।

 

জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদীর দু’পার জুড়ে দেবী চৌধুরানী কে নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য লোককথা । এখানে যেমন রয়েছে প্রাচিন বনদুর্গার পুজো, তেমনই রয়েছে ফালাকাটা, তুলাকাটা, ঢেনাকাটার পুজো। যা মূলত রাজবংশী সমাজের কৃষকেরাই করে থাকে এবং এই সব স্থানে অম্বুবাচীতে বিশেষ কিছু উপাচার অনুষ্ঠিত হয়।

 

শোনা যায় একবার শিব ঠাকুর কৈলাশ থেকে মর্তে এসে এই স্থানে লুকিয়ে ছিলেন এবং দেবী পার্বতী এই অঞ্চল থেকে শিবকে খুঁজে বের করতে মেছেনি রুপ ধারন করেছিলেন।

 

আবার প্রতি বছর আষাঢ় মাসে অম্বুবাচির পরের সপ্তাহে তিস্তা নদীর পথ ধরে জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুরে বজরায় চেপে আসতেন দেবী চৌধুরানী এবং পুজো সেরে উৎসব পালন করে আবার ফিরে যেতেন।

 

অম্বুবাচী নিবৃত্তির পর গ্রামের কৃষকরা এখানে পুজো দেন এবং তারপর আবার কৃষি কাজ শুরু করেন।একশো বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই পূজো। স্থানীয় কৃষকেরা এই পুজো না দিয়ে আমন ধান চাষ করেন না।এখানে অম্বুবাচীই প্রধান উৎসব সব অত্যন্ত পবিত্র এই সময়।

 

ফিরে আসবো ধারাবাহিক অম্বুবাচী সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে আবার আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।