জয় জগন্নাথ – প্রভু জগন্নাথের ঐশর্য্য

19

জয় জগন্নাথ – প্রভু জগন্নাথের ঐশর্য্য

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

পুরীর জগন্নাথদেব শুধু পুরীর নয় সমগ্র জগতের নাথ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রভু জগন্নাথের রয়েছে অগাধ সম্পত্তি। সেই তালিকায় রয়েছে বহু মূল্য হীরে, মূল্যবান অনেক রত্ন, সোনার এবং রুপোর নানা রকম অলংকার।শুধু জগন্নাথ নন বলরাম এবং সুভদ্রার ও রয়েছে নিজস্ব রত্ন ভান্ডার।

আজকের পর্বে প্রভু জগন্নাথের সেই বিপুল ধনভান্ডার নিয়ে লিখবো।

 

মন্দিরের অভ্যন্তরে কয়েকটি বিশেষ কক্ষে এই অতুল ঐশর্য রাখা আছে। সেখানে বাইরের কারুর প্রবেশের অধিকার নেই।বহুকাল এই রত্ন ভাণ্ডারের সমীক্ষা বা হিসেবে নিকেশ হয়নি। ভারত সরকার একবার উদ্যোগ নিয়ে রত্ন ভাণ্ডারের সমীক্ষা করান তাতে জগন্নাথের অতুল ঐশর্যর কিছুটা জন সমক্ষে বলে ধারণা।

 

বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রভুর মাথায় ব্রহ্মজ্যোতি হীরা শোভা পায়।সেই হীরের জ্যোতি কি কেউ খালি চোখে সইতে পারেনা।এছাড়া বলরামের মাথার নীলা বা সুভদ্রার মাথার মানিক, সবই রত্নভান্ডারে গচ্ছিত আছে।বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রভুকে সোনার গয়নায় সাজানোর জন্য তার রত্ন ভান্ডার থেকে গহনা বের করে আনা হয় তবে তারও একটা নিদ্দিষ্ট পক্রিয়া আছে।

 

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদুয়ারের ঠিক সামনে ইমার মঠ। সেখান থেকে একাধিক বার উদ্ধার হয়েছে গুপ্তধন।২০১১-তে ও ২০২১-এ, পরপর দু’বার এই মঠ থেকে পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।উদ্ধার হয় অন্তত ৫০০ রূপোর বাট।

 

তবে প্রভু জগন্নাথের সব চেয়ে মূল্যবান এবং আলোচিত সম্পদ হলো জগৎ বিখ্যাত কোহিনুর হীরা যা খাতায় কলমে জগন্নাথ দেবের সম্পত্তি হলেও তা আজও জগন্নাথ দেবের অধিকারে আসেনি। কারন কোহিনুরের মালিক মহারাজা রঞ্জিত সিংহ জগন্নাথ দেব কে কোহিনুর অর্পণ করার কথা ঘোষণা করলেও কোহিনুর জগন্নাথ চরণে অর্পণ করার আগেই তার মৃত্যু হয় এবং কোহিনুর চলে যায় ব্রিটিশ সরকারের হাতে।

তবে সমগ্র জগৎ সংসারের সম্পূর্ণ ঐশর্যর অধিকারী প্রভু জগন্নাথ তাই তার জাগতিক সম্পত্তি কি আছে কি নেই সেটা বড়ো কথা নয়। ভক্তের ভক্তি এবং সেবাই তার কাছে সব চেয়ে দামী এবং কাঙ্খিত।

 

আসন্ন রথ যাত্রা উপলক্ষে চলতে থাকবে জগন্নাথদেব এবং পুরীর ধাম নিয়ে শাস্ত্রীয় আলোচনা। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।