কালী কথা – ভবতারিণী কালী

65

কালী কথা – ভবতারিণী কালী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজ কালী কথার এই পর্বে আপনাদের কলকাতার এমন একটি প্রাচীন কালীর পুজোর কথা আপনাদের জানাবো যেখানে দেবী ভবতারিণী রূপে বিরাজ করছেন।

 

ঐতিহাসিক এই মন্দিরটি ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত।

বর্তমানে এই মন্দিরটি হেরিটেজ ঘোষিত হয়েছে।

গর্ভগৃহে কষ্টিপাথরের দক্ষিণাকালী ভবতারিণী নামেই নিত্য পূজিতা। মন্দিরের  গর্ভগৃহের একদিকে শ্রীধর অর্থাৎ নারায়ণ শিলা, কৃষ্ণ-রাধিকা মূর্তি, গণেশ, কৃষ্ণ মূর্তিও নিত্য পূজিত হয়।  মন্দিরটি দক্ষিণমুখী। দক্ষিণেশ্বরের আদলে নবরত্নশৈলীতে মন্দিরটি নির্মিত এবং আগেই বলেছি দক্ষিনেশ্বরের ন্যায় এখানেও দেবী কালী ভবতারিণী রূপে বিরাজ করছেন।

 

ঠাকুর রামকৃষ্ণর শিষ্য বলরাম ঘোষের উত্তরসূরি তুলসীরাম ঘোষকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন দেবী।স্বপ্নে দেখা রূপ অনুযায়ীই এখানে দেবী কালীর মূর্তি তৈরি হয়েছে। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ প্রথম গ্রহণ করেন সারদা প্রসাদ ঘোষের মা দয়াময়ী দাসী। তুলসীরাম ঘোষ স্বপ্নে দেখা কালী মূর্তি অনুযায়ী একটি ছবি আঁকিয়েছিলেন। সেই ছবিটি এখনও মন্দিরে রাখা আছে। তুলসীরামের পুত্রবধূ দয়াময়ী দেবী স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলের সঙ্গে কলকাতায় এসে জমি কিনে মন্দির তৈরি শুরু করেন এবং তুলসীরামের আঁকানো ছবি অনুযায়ী কালী মূর্তি তৈরি করান। পরবর্তীতে মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় স্থাপিত হয় একটি কষ্টি পাথরের কালী মূর্তি এবং নিয়মিত পুজো

শুরু হয়।

 

ভবতারিণী মন্দিরে বৈষ্ণব মতে পুজো হয়।

প্রতি অমাবস্যায় বিশেষ পুজো হয় তবে

কার্তিক অমাবস্যায় বেশি ধূমধাম করে কালী পুজো হয়। এছাড়াও জন্মাষ্টমী, দুর্গাপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে। মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাসন্তী পঞ্চমীর দিন সেই কারণে, প্রতি বছর বসন্ত পঞ্চমীর দিন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পুজো হয়।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা বিপদে-আপদে মন্দিরে ছুটে আসেন তাদের ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে ভক্তদের বিশ্বাস দেবীর কৃপায় যেকোনও বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

 

ফিরে আসবো পরবর্তী পর্বে অন্য এক কালী মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে। কালী কথায়।

পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।