শিব মাহাত্ম – কালভৈরব রূপ 

142

শিব মাহাত্ম – কালভৈরব রূপ

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শিবের বিভিন্ন রূপগুলির মধ্যে

অন্যতম কাল ভৈরব যা শিবের অংশ বিশেষ।

আজ এই এই রূপ নিয়ে লিখবো।

 

আগের পর্বে বলেছিলাম সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কালভৈরবকে সৃষ্টি করেছিলেন করেছিলেন শিব। অর্থ্যাৎ শিবের ক্রোধ থেকে জন্ম কাল ভৈরবের আর সেই কালভৈরবই ব্রহ্মার একটি মাথা কেটে নিয়েছিল।

 

কিন্তু তারপর সেই ছিন্ন মস্তক ছুঁড়ে ফেলতে চাইলেও কালভৈরনের হাতেই আটকে ছিল সেটি।সেই অবস্থায় কিছু কাল ভ্রাম্যমান অবস্থায় কাটান তিনি। এই কপাল হাতে থাকার কারনেই শিবের আরেক নাম হয় কাপালিক।

 

এদিকে ব্রহ্ম হত্যার পাপ অন্য দিকে এই অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কপাল ব্রত পালন করতে হয় তাঁকে।তাতেও তেমন ফল হয়না, অবশেষে কাশীতে আসার পর গঙ্গা স্নান করে পাপ মুক্ত হন শিব এবং সেই কপাল থেকে মুক্ত হন তিনি তার পর শিব তার কাল ভৈরব রূপকে কে নিষ্ঠা সহকারে কাশী তেই স্থাপন করেন এবং কাশীকে রক্ষা করার দায়িত্ব দেন কালভৈরবকে। তাই শিব হলেন কাশীর রাজা আর কালভৈরব তাঁর কোতোয়াল। তিনিই আশীর্বাদ করেন, তিনিই অভিশাপ দেন। এমনকি স্বয়ং যমরাজেরও নাকি কাশীবাসীকে শাস্তি দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।কাশী তে কাল ভৈরব ই শেষ কথা |

 

কাশীর কালভৈরব মন্দির ঘিরে রয়েছে অসংখ্য রহস্যময় আচার ও প্রথা,কথিত আছে কাল ভৈরব এর অনুমতি ছাড়া কাশী প্রবেশ বা এখানে থাকা সম্ভব নয়|

 

অনেকের কাছেই কালভৈরব শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাফল্যের দেবতা, তার বাহন কুকুর, অনেকে বিশ্বাস করেন গভীর রাতে কোথাও যাত্রা করার সময় কালভৈরবের নাম নিলে নাকি তিনি সব বিপদ কাটিয়ে দেন।হিন্দু পুরাণ মতে, কালভৈরব কাল বা সময়ের শাসক। প্রতিটি হিন্দু মন্দিরে কালভৈরবের মূর্তি রয়েছে। এবং তিনি সেই মন্দিরের রক্ষক হিসেবে বিবেচিত হন।তবে সেই ভৈরব মূর্তিও অনেক প্রকার ভেদ আছে।

প্রতি শিব মন্দিরে কালভৈরব এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ওই মন্দিরের চাবির রক্ষক বলে বলে মনে করা হয়|

 

চলতে থাকবে ধারাবাহিক শাস্ত্রীয় আলোচনা।

ফিরে আসবো দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ নিয়ে

আগামী পর্ব গুলিতে।পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।