শিব তীর্থ – মথুরাপুরের বড়াশির শিব
মথুরাপুর
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বড়াশির শিব মন্দির দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম প্রসিদ্ধ শিব মন্দির।এই মন্দিরে বিরাজ করেন বাবা বজুরকিনাথ শিব।
এই প্রাচীন শিব মন্দির নিয়ে বহু কিংবদন্তী প্রচলিত আছে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুরের এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। তবে মনে করা হয় শশাঙ্কের আমলে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে ব্রিটিশ যুগে সুন্দরবনের প্রাচীন এই মন্দির প্রথম সর্বসমক্ষে আসে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার এই অতি প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে।জনপ্রিয়তাও দিনে দিনে বেশি হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি এই মন্দিরে বহু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। একবার গরুরা নিজে দুধ দিয়েছিল। এখানকার শিবলিঙ্গের মাথায়।এলাকা যখন জঙ্গলাকীর্ণ ছিল তখন গরুর পাল এই মন্দিরের কাছে চলে আসত। সেই সময় এক রাখাল বালক গরুর খোঁজে মন্দিরের কাছে এসে দেখতে পান গরুর পাল নিজেরাই শিবলিঙ্গে দুধ দান করছে! এরপর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বাবা মহাদেবের মাহাত্ম্যের কথা।আগে মন্দিরের পাশ দিয়ে বাবা ভোলানাথ স্বয়ং হেঁটে যেতেন এমন কথাও শোনা যায়।
এই মন্দিরে মানত করলে সব সমস্যার সমাধান হয় বলে বিশ্বাস। এর জন্য মানত করে পুণ্যার্থীরা মন্দিরের গায়ে ধাগা বাঁধেন। যা এখানে গেলেই দেখা যায়। মন্দিরের গায়ে সর্বত্র বাঁধা রয়েছে। শিব রাত্রি এবং চড়কের আগে ব্যাপক ভিড় এই মন্দিরে।বহু দুর দূরান্ত থেকে বাবা মহাদেবের ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন তাদের মনোস্কামনা নিয়ে।
আবার যথা সময়ে ফিরে আসবো পরবর্তী শিব তীর্থ নিয়ে। চলতে থাকবে ধারাবাহিক শিব তীর্থ।
পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।