নবরাত্রি – দেবী ব্রহ্মচারিনী

32

নবরাত্রি – দেবী ব্রহ্মচারিনী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

চলছে নবরাত্রি আজকের পর্বে দেবী দুর্গার দ্বিতীয় রূপ নিয়ে আলোচনা করবো।

দেবীর দ্বিতীয় রূপটি হলো ব্রহ্মচারিনী।

 

নব রাত্রির দ্বিতীয় দিনে ব্রহ্মচারিনীর বেশে ধরা দেন মা|এখানে ‘ব্রহ্ম’ শব্দের অর্থ হল তপস্যা। ব্রহ্মচারিণী অর্থাৎ তপস্বীনি|ভগবান শঙ্করকে পতিরূপে লাভ করার জন্য দেবী পার্বতী কঠিন তপস্যা করেন। সেই কঠিন তপস্যার জন্য তাকে তপশ্চারিনী বা ব্রহ্মচারিণী বলা হয়। দেবীর এই রূপের পুজো হয় নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে।

 

দেবীর তপস্যা সার্থক হয় এবং বিবাহ হয় শিব ও পার্বতীর। বিবাহের পরে জন্ম নেন তাঁদের সন্তান কার্তিক বা ষড়ানন যিনি দেব সেনাপতি হন এবং বধ করেন তারকাসুরকে।

 

দেবীর ব্রহ্মচারিণীর রূপ জ্যোতিতে পূর্ণ, অতি মহিমামণ্ডিত। তিনি ডান হাতে জপের মালা এবং বাঁ হাতে কমণ্ডলু ধারণ করে আছেন। প্রেম, আনুগত্য, প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের প্রতীক হিসেবেও তিনি পরিচিত। সাদা রঙ দেবীর প্রিয় তাই দেবী ব্রহ্মচারিনীর পুজোয় স্বেত চন্দন ও সাদা ফুল ব্যাবহার হয়|

 

যারা দেবীর ব্রহ্মচারীনি রূপের পুজো করবেন তারা এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন|”ইয়া দেবী সর্বভূতেষু মা ব্রহ্মচারিণী রূপেন সংস্থিতা নমস্তস্যই নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ”

 

শাস্ত্রে আছে এই রূপের পূজায় বৃদ্ধি পায় মনোসংযোগ এবং সব ভয় সংশয় ও মানসিক দুর্বলতা দূর হয়|এছাড়া এই দেবীর আশীর্বাদে বিবাহিত জীবন সুখের হয় এবং সন্তান ভাগ্য ভালো হয়।

 

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে দেবী ব্রহ্মচারিণী মঙ্গল গ্রহ শাসন করেন। যাদের মঙ্গল সংক্রান্ত কোনো গ্রহ দোষ আছে তারা দেবীর এই রূপের পুজো করলে ভালো ফল পাবেন।

 

আগামী দিনের পর্বে দেবীর তৃতীয় রূপ এবং তার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা নিয়ে ফিরে আসবো যথা সময়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।