ভাইফোঁটার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা

349

দীপাবলী তারপর গ্রহন জ্যোতিষ ও তন্ত্রের জগতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিন আমরা পেরিয়ে এলামযদিও উৎসবের রেশ এখনো রয়ে গাছে কারন সামনে ছট পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো|তবে আজ ভাই ফোঁটা তাই আজকের পর্বে ভাইফোঁটার শাস্ত্রীয় ও পৌরাণিক দিক নিয়ে বলবো|পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর বোন যমুনার বাড়িতে এই দিনে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলেন এবং তার বোন দাদার কপালে তিলক কেটে তাঁকে আরতি করে ঘরে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কার্তিক মাসের দ্বিতীয়া তিথিতে শুভ ক্ষণে সেই ফোঁটা দেয়া হয়েছিলো সেই থেকে শুরু হয়েছে ভাইফোঁটা যা মূলত ভাই বোনের মধুর সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় ও সুরক্ষিত করে শাস্ত্রীয় পদ্ধতিতে|মহাভারত অনুসারে নরকাসুর নামে এক দানবকে বধ করার পর দ্বারকায় ফেরেন কৃষ্ণ। দাদার আগমনে সুভদ্রা বিশেষ পূজা করেছিলেন এবং দাদা কৃষ্ণর কপালে পুজোর তিলক বা ফোঁটা দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন অনেকেই মনে করেন সেই থেকে এই ভাইফোঁটা চালু হয়েছে।ভাই ফোঁটা দেয়ার কিছু শাস্ত্রীয় রীতি নীতি আছে ভাইকে ফোঁটা দেওযার সময় ভাইয়ের মুখ পূর্ব, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকা উচিত। এই দিনে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার আগে কিছু খাওয়া উচিত নয়।ভাইয়ের কপালে হলুদ বা লাল রঙের তিলক বা ফোঁটা দিন। পাশাপাশি হলুদ ডোর তার ডান হাতে বেঁধে দিতে পারেন এরপর ভাইকে আরতি করে মুখে মধু ও কপালে ফোঁটা দেওয়া হয়। তারপর ভাইকে মিষ্টি খাইয়ে দিন।নিজের ইস্ট দেবের কাছে সুখী জীবন ও দীর্ঘায়ুর প্রার্থনা করুন।বিশেষ কয়েকটি বিধি নিষেধ এই দিন মেনে চলুন|ভাইফোঁটার দিন কপালে ফোঁটা দেওযার আগে দুজনেই কিছু খাবেন না।ভাইফোঁটার দিন ভাই-বোনেরা যেন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না।ভাইয়ের থেকে পাওয়া উপহার যেমনই হোক না কেন , তাকে ও তার দেওয়া উপহারকে কখনও অসম্মান করবেন না|দিন কোনো রকম কটু কথা বলবেন না।পুজোর সময় কালো কাপড় একেবারেই পরবেন না।পৃথিবীর সব ভাই বোনেদের জানাই ভাই ফোঁটার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|ফিরে আসবো অন্য কোনো শাস্ত্রীয় ও পৌরাণিক বিষয় নিয়ে আগামী পর্বে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|