পুরান রহস্য – শনিদেব ও রাবন

363

আজ শনিদেবকে কেন্দ্র করে ঘটা এক পৌরাণিক ঘটনার কথা বলবো যেখানে রয়েছেন লংকাঅধিপতি রাবন এবং রুদ্রঅবতার হুনুমান|রাবন পুত্র মেঘনাথ যখন জন্ম গ্রন্থন করেন তখন আকাশে শনিদেবের খুব প্রভাব চলছিল|রাবন চেয়েছিলেন মেঘনাথের জন্মের সময় সব গ্রহরা তার অনুকূলে থাকবেন|এমন ভাবে তারা অবস্থান করবেন যাতে মেঘনাথ হবেন অমর ওঅপরাজেয়|নিজের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে রাবন সব গ্রহদের বন্দী করলেন এবং একটি নিদ্দিষ্ট ভাবে অবস্থান করতে বাধ্য করলেন কিন্তু চতুর শনিদেব চক্রান্ত করলেন এবং নিজের পা ব্যবহার করে তার নিদ্দিষ্ট ভাবের সীমানা অতিক্রম করে অন্য রাশিতে নিজের সঞ্চার ঘটালেন|ফলে মেঘনাথের জন্ম কালে হিসেব উল্টো পাল্টা হয়ে গেলো এবং শনিগ্রহের এই প্রভাবে মেঘনাথর আর অমরত্ব পাওয়া হয়নি|এই ঘটনায় রাবন খুব রেগে যান এবং শনিদেব কে আঘাত করে বসলেন| রাবন ছিলেন অনেক বড় যোগী। যোগ বলে তিনি শনিদেবকে আটক করে রেখেছিলেন লঙ্কাতে|পরবর্তীতে হনুমানজী যখন রামজীর দেওয়া আংটি সীতা মাতাকে পৌঁছে দিতে লঙ্কা পৌছন তখন দেখেন শনিদেব আটক রয়েছেন। উনি সব কথা শোনেন এবং শনিদেবকে সেখানে থেকে মুক্ত করেন। কৃতজ্ঞতা বসত শনিদেব কথা দেন তিনি রামচন্দ্র ও হনুমানজীর ভক্তদের বিশেষ আশীর্বাদ অর্পন করবেন|তবে এর পরেও একাধিক বার শনিদেব ও হনুমান মুখোমুখি হয়েছেন|সে নিয়েও আছে রোমাঞ্চকর পৌরাণিক কাহিনী|সেই সব ঘটনা বলবো যথা সময়ে, যথা স্থানে|আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি|চলবে পুরান কথা পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|