কালী কথা – পঞ্চগ্রামের ফলহারিণী কালী পূজা

466

প্রায় তিনশো বছর আগে মায়ের পুজোয় থেমে গিয়েছিল মহামারী সেই থেকে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পঞ্চগ্রামের ফল হারিণী কালী পুজো|এখানে অমাবস্যাতেই তৈরি হয় মূর্তি, অমাবস্যাতেই বিসর্জন৷ কারোর কাছে তিনি রক্ষা কালী মা। সব অশুভ শক্তি’র বিনাশকারী দেবী। কারোর কাছে তিনি মহামারী মা আবার কারোর কাছে তিনি কলেরা মা। কথিত আছে,নবাবি আমলে বর্ধমানের প্রাচীন জনপদ পঞ্চ গ্রাম মহামারী কলেরায় উজাড় হতে থাকে। গ্রাম বাসি দের উদ্যোগে কলেরা থেকে রক্ষে পাওয়ার জন্যই শুরু হয়েছিল পুজো এবং আজ তা উৎসবের রূপ নিয়েছে|পঞ্চগ্রামের ৫ গ্রাম হয়রামনগর, গোবিন্দপুর, জুয়ালভাঙা, কোন্দা এবং পাণ্ডবেশ্বর। কলেরা প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে দক্ষিণ প্রান্তের শেষে পাণ্ডবেশ্বরে হয় পুজো।শুরু হয় রক্ষা কালী মা পুজো। চলিত বিশ্বাস, পুজোর পর থেকে প্রকোপ কমে কলেরার। এরপর থেকে কলেরা বা মহামারী মা নামেও পূজিত হন চ্যাটার্জি বাড়ির রক্ষা কালী মা। জ্যৈষ্ঠ মাসের ফলহারিণী অমাবস্যায় প্রতি বছর পাণ্ডবেশ্বরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো নেন রক্ষা কালী মা।বছরের একটি দিন পুজো করেন স্থানীয় ভট্টাচার্য পরিবার আর বাকি ৩৬৪ দিন পুজো করে আসেন চ্যাটার্জি বাড়ির সদস্যরা।বলি প্রথা এখনও চালু।রয়েছে মানুষের মুখে মায়ের ভোগ তুলে দেওয়া রীতি ।দেবীকে পড়ানো হয় সোনার মুকুট, হার, চুড়ি, জিভ সহ ভরি ভরি সোনার গয়না প্রায় ৩৫০ বছর আগে যে নিয়মে মায়ের পুজো শুরু হয়েছিল আজও সেই একই নিয়মে পুজো হয়। বংশ পরম্পরায় আজও মৃৎশিল্পীরা ষোলআনা অর্থাৎ এক টাকার বিনিময় প্রতিমা গড়ে দেন|চলবে কালী কালী কথা|ফিরে আসবো আগামী পর্বে|পড়তে থাকুন|ফল হারিণী অমাবস্যায় থাকছি তারাপিঠে|জ্যোতিষ ও তন্ত্র বিষয়ে কথা বলতে বা গ্রহ দোষ খণ্ডন করাতে চাইলে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|