বাংলার শৈব্য তীর্থ ক্ষেত্র গুলির মধ্যে অন্যতম তারকেশ্বর শিব মন্দির যা হুগলীতে অবস্থিত|দেশ বিদেশের শিব ভক্ত দের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থ ক্ষেত্র এই স্থান|অবশ্য তারকেশ্বর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে একটি বৌদ্ধ মন্দির। এই স্থানটির নাম দেউলপাড়া। এটি হুগলি জেলার একমাত্র বৌদ্ধ মন্দির।শোনা যায়, তারকেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বিষ্ণুদাস নামের এক শিবভক্ত। উত্তরপ্রদেশ থেকে এসে হুগলিতে বসবাস শুরু করেন তিনি।লোককথা অনুযায়ী, বিষ্ণুদাসের ভাই দেখেন স্থানীয় জঙ্গলে একটি কালো পাথরের ওপর গরুরা নিয়মিত দুধ দান করে আসে। এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সে তিনি কথা বিষ্ণুদাসকে জানান। আর এর পরই স্বপ্নাদেশে ওই পাথরটিকে শিবজ্ঞানে পুজো শুরু করেন বিষ্ণুদাস।শিবের তারকেশ্বর রূপ অনুসারে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়। তারকেশ্বরের মহাদেবকে বলা হয় স্বয়ম্ভূলিঙ্গ ৷ কারণ তারকেশ্বরের শিবলিঙ্গ কেউ স্থাপন করেননি। অন্যদিকে, গঙ্গার পলল ভূমিতে ওই ধরনের পাথর মেলাও মুশকিল। তাই মনে করা হয়, শিব এখানে স্বয়ং অবির্ভূত হয়েছিলেন|তারকেশ্বর শিবের মন্দির এই তীর্থের প্রধান আকর্ষণ। মন্দিরটি বাংলা আটচালা শৈলীর মন্দির। মন্দিরের সামনে একটি নাটমন্দির অবস্থিত। অদূরেই কালী ও লক্ষ্মী-নারায়ণের দুটি মন্দির রয়েছে। মন্দিরের উত্তরে অবস্থিত পুকুরটির নাম দুধপুকুর। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই পুকুরে স্নান করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয় বিশেষ বিশেষ তিথিতে অসংখ্য মানুষ এই পুকুরে স্নান করেন|সারাবছরই তারকেশ্বর মন্দিরে পূণ্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। প্রতি সোমবার ও শ্রাবণ মাসে শ্রাবনী মেলাতে প্রচুর জনসমাগম হয়। এছাড়া ফাল্গুন মাসে শিবরাত্রিও চৈত্র-সংক্রান্তিতে গাজন উৎসবেও বহু মানুষ আসেন। সমগ্র শ্রাবণ মাস জুড়ে প্রতি সোমবার শিবের বিশেষ পূজা হয়ে থাকে এবং সেই উপলক্ষে বহু মানুষের আগমন ঘটে এই তীর্থে|আগামী পর্বে বাংলার নতুন কোনো শিব ভূমি নিয়ে ফিরে আসবো |পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|