আজ মা অন্নপূর্ণার পূজার দিন,তিনি অন্নের দেবী, সুখ ও সমৃদ্ধির দেবী|কথিত আছে তার পুজোর পর দরিদ্রকে অন্ন দান করলে জীবন থেকে সব অভাব দূর হয়|নিষ্ঠাভরে দেবীর আরাধনায় সংসার হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ|দেবী অন্নপূর্ণাকে নিয়ে আমি আগেও লিখেছি, সেই লেখা আপনারা পড়তে পারেন আমার ওয়েবসাইট এ গিয়ে,আজ জানাবো দেবীর আবির্ভাবের কথা, তার পৌরাণিক ব্যাখ্যা|
এক চৈত্র মাসের শুক্ল অষ্টমীতে দেবী অন্নপূর্ণা আবির্ভুতা হয়ে ছিলেন কাশীধামে|
পুরাণ মতে দেবী পার্বতীর সঙ্গে দেবাদিদেবের মতবিরোধে দেবী কৈলাস ত্যাগ করলে মহামারি, খাদ্যাভাব ঘটে। ভক্তগণকে এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য দেবাদিদেব ভিক্ষার ঝুলি নিজ কাঁধে তুলে নেন। কিন্তু দেবীর মায়ায় ভিক্ষারও আকাল ঘটে। তখন দেবাদিদেব শোনেন কাশীতে এক নারী সকলকে অন্ন দান করছেন। দেবীকে চিনতে মহাদেবের একটুও দেরি হয় না। মহাদেব দেবীর কাছে ভিক্ষা গ্রহণ করেন ও অন্ন ভিক্ষা নিয়ে তার ভক্তদের খাদ্যাভাব থেকে রক্ষা করেন|
এরপর মহাদেব দেবীর একটি মন্দির নির্মাণ করেন কাশীতে এবং সেই থেকে তিনি কাশীর অধিষ্টাত্রী দেবী তার কৃপায় কাশিতে ইচ্ছা থাকলেও অনাহারে থাকা যায়না, প্রত্যেক কাশী বাসির অন্নদানের ভার দেবী অন্নপূর্ণার|
অন্নদাত্রী দেবী অন্নপূর্ণার আরেকনাম অন্নদা
তিনি দেবী দুর্গার আরেক রূপভেদ।মূলত দ্বিভূজা বা চতুর্ভূজা । গায়ের রঙ লালচে। দ্বিভূজা দেবীর বামহাতে সোনার অন্নপাত্র। ডানহাতে চামচ বা হাতা।মাথায় বিরাজিত অর্ধচন্দ্র। তিনি ক্ষুধার্ত মহাদেবকে অন্নদান করছেন স্মিতহাস্যে তার এক পাশে শ্রী ও অন্য পাশে ভূমি|
প্রাচীন তন্ত্রসার গ্রন্থে দেবীর পূজা পদ্ধতি রয়েছে, আবার অন্নদামঙ্গল কাব্য রচিত হয়েছে দেবীর মহিমা কীর্তন করে|সব মিলিয়ে সনাতন ধর্মে দেবী অন্নপূর্ণার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য অপরিসীম|আজ দেবী অন্নপূর্ণাকে প্রনাম জানিয়ে লেখা শেষ করলাম আপনাদের সবাইকে জানাই অন্নপূর্ণা পুজোর অনেক শুভেচ্ছা|এই শুভ ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যারা ভাগ্যগণনা করাতে বা প্রতিকার গ্রহন করতে চান অবশ্যই যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|