এর আগের মন্দির রহস্য পর্ব গুলিতে আমি বেশ কয়েকটি কালী মন্দির, শিব মন্দির এবং বিষ্ণু মন্দির তার সাথে জড়িত রহস্য জনক নানান ঘটনা ও গল্প আপনাদের বলেছি, আজ এমন একটি মন্দিরের কথা বলবো যেখানে প্রতিষ্টিত আছেন যমরাজ, হয়তো অনেকেই আগে এমন মন্দিরের কথা আগে শোনেননি, এই মন্দিরটি রয়েছে হিমাচল প্রদেশেরে চম্বা জেলার ভারময় নামক স্থানে|
এই যমরাজ মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা ও রহস্য, তবে ভক্তির থেকে এই মন্দিরের ক্ষেত্রে ভয়ের প্রাধান্যই রয়েছে ওধিক, কারন যমরাজ মানেই তো মৃত্যু আর এই মন্দিরের যমরাজের সাথে ও অবস্থান করছেন মানুষের যাবতীয় পাপপুণ্যর হিসাব রক্ষক চিত্রগুপ্ত|
মনে করা হয়, মন্দিরের মধ্যেই গোপন এক ঘরেই মানুষের পাপ-পুণ্যের হিসেবে কষেন তারা, পাহাড়ে ঘেরা মন্দিরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক কথায় অপূর্ব যা দেখতে আসেন বহু দর্শনার্থী তবে, মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার দুঃসাহস দেখাতে চায়না তারা, বাইরে থেকে প্রনাম করেই বিদায় নেয় বেশি ভাগ দর্শনার্থী|
কবে এবং কে এই মন্দির এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই প্রশ্নের উত্তর এখনো রয়েছে অজানা, লোকমুখে প্রচারিত, মন্দিরটিতে মোট চারটি অদৃশ্য দরজা রয়েছে যেগুলি নাকি সোনা, রুপা, ব্রোঞ্জ এবং লোহা দিয়ে তৈরি, পুরাণেও এমনই চারটি দরজার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। যমরাজের ইচ্ছা অনুযায়ীই নাকি মৃত ব্যক্তির আত্মা এসব দরজার কোনো একটি দিয়ে স্বর্গ বা নরকে পৌঁছায়|
মানুষের বিশ্বাস, মৃত্যুর পরে মুক্তি লাভের জন্যে সেই আত্মার ঠাঁই হয় যমরাজের পায়ের কাছে। সেখানে চিত্রগুপ্ত সেই আত্মার ভালো মন্দের হিসাব পেশ করেন মৃত্যুর দেবতার সামনে, তারপর যমরাজ সিদ্ধান্ত নেন, কোন দরজা খোলা হবে সেই আত্মার জন্যে। এইভাবে এই মন্দির মানুষের পাপ পুণ্যের হিসাব করার ও আত্মার পরবর্তী গন্তব্য নির্ণয় করার কাজে ব্যবহিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে|
আগামী দিনে, হিমাচলপ্রদেশ ভ্রমণ করলে এই মন্দির টি চাইলে দেখে আসতে পারেন, আজ এখানেই থামছি, আবার দেখা হবে একটি নতুন পর্বে, যাওয়ার আগে মনে করিয়ে দিই বর্তমানে, কোলকাতা, বারাসাত ও অনলাইনে ভাগ্যবিচারের পাশাপাশি জেলায় ও যাচ্ছি নিয়ম করে তাই দূরের বন্ধুরা জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজ নিয়ে আমার কাছে আসতে চাইলে আগে উল্লেখিত নম্বরে ফোন করে জেনে নেবেন আমাকে কোথায় কবে ও কখন পাবেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|