নবদ্বীপের পোড়ামা ভবানীর মন্দির

788

বৈষ্ণব তীর্থ ক্ষেত্র নবদ্বীপ এ রয়েছে এক জাগ্রত কালী মন্দির আজ বলবো এই কালী মন্দির নিয়ে একটি বিশেষ পর্বে,

নবদ্বীপ শহরের মা ভবতারিণী মন্দির প্রায় দ্বিশতাধিক প্রাচীন একটি কালী মন্দির|

এই মন্দিরের ইতিহাস বেশ প্রাচীন|পঞ্চদশ শতাব্দীতে বৃহদ্রথ নামে এক তন্ত্রসাধক ও সিদ্ধ সন্ন্যাসী বাস করতেন এই নবদ্বীপে। তিনি একসময় এখানকার এক বোনের মধ্যে দেবী কালীকে স্থাপন করেন একটি ঘটে। সেই সময়ে নবদ্বীপের বিখ্যাত পন্ডিত ছিলেন বাসুদেব সার্বভৌম যাঁর পিতামহ ছিলেন বৃহদ্রথের মন্ত্রশিষ্য। তিনি বন থেকে দেবীর ঘটটি এনে নবদ্বীপ শহরের এক বৃক্ষ তলে দক্ষিণাকালীর ঘটটি স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে দেবীর সেবার ব্যবস্থা করলেন নদীয়ার রাজবংশ|

দেবী পোড়ামা ভবতারিণী নামে খ্যাত,এই নামের সাথেও জরিয়ে আছে একটি অদ্ভুত গল্প, শোনা যায় , বাসুদেব সার্বভৌম প্রতিষ্ঠিত সেই মা কালিকা স্বরূপিনী ঘটে নিত্য পূজা ও ভক্ত সমাগম ঘটত বৃক্ষ তলে। হঠাৎ একদিন প্রচন্ড অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেল বৃক্ষটি, শোনা যায় আগুন লেগেছিল বাজ পড়ে। সেই থেকে দেবী হয়ে গেলেন”পোড়ামা ভবানী”।

পোড়ামা রূপে পূজিতা এই দেবী বিগ্রহটি এক অনন্য সাধারণ রূপ। বিশাল ফালা-ফালা চোখ ও লকলকে জিভ হলেও মা বসন পরিহিতা এবং তাঁর হাতে নেই খাঁড়া। মা বাবু হয়ে বসে আছেন শিবের বুকের উপর|

একাধিক বার মন্দির সংস্কার হয়েছে , কিন্তু প্রায় দুশো বছরের প্রাচীন মন্দির কে ততোধিক প্রাচীন এক বট গাছের ঝুরি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে। কিন্তু ওই বটগাছ নবদ্বীপের গ্রাম্য দেবী পোড়ামা বলে কয়েকশো বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছে। ফলে বৃক্ষ দেবতারূপী ওই বট গাছ কেটে মন্দির সংস্কারের কাজ করা কখনোই সম্ভব হয়নি|

আগামী সময়ে নবদ্বীপ ভ্রমণে গেলে , এই বিশেষ মন্দির দর্শন করতে ভুলবেন না|আর বিশেষ তিথিতে গেলে বিশেষ পূজার সাক্ষী থাকবেন|
শেষ করার আগে জানিয়ে রাখি আবার আগের মতো চেম্বারে বসা, শুরু হয়েছে, অনলাইনের পাশাপাশি যারা জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রয়োজনে চেম্বারে আসতে চান, ফোন করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|