জ্বালাজি মন্দির

384

আজকাল নিয়মিত অনলাইন ভাগ্য বিচার ও চেম্বারে ক্লাইন্ট দেখার পাশাপাশি যতটা সময় অবশিষ্ট থাকে তা এই আধ্যাত্মিক লেখালেখির কাজেই ব্যায় হয়|আপনাদের ভালো লাগছে জেনে মনে হয় আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক|আগামী দিনেও আমার প্রতিটি আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডে এই ভাবেই আপনাদের পাশে চাই|আজ আর ভূমিকা না করে শুরু করা যাক নতুন এক পর্ব|আজকের পর্বে জ্বালাজি মন্দির|

হিমাচল প্রদেশের অতি সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে অবস্থিত এই রহস্যময় প্রাচীন মন্দির এই মন্দির সতী মাকে উৎসর্গ করা , এই মন্দিরে এক রহস্য ময় অগ্নি প্রজ্বলিত আছে যেটা কয়েক শতাব্দীর বেশি সময়ে ধরে জ্বলছে|

জ্বালাজি মন্দিরে ৭টি আগুনের শিখা দেখা যায় যেগুলি আজ পর্যন্ত কখনও নিভে যায়নি। কখনও কখনও শিখাগুলির সংখ্যা বেড়ে হয় ৯টি। ভক্তদের বিশ্বাস, শিখাগুলি মা ভগবতীর সাত বোনের বহিঃপ্রকাশ। কেউ আবার বলেন, শিখাগুলি আসলে মা দুর্গার ন’টি অবতারের প্রতীক। ভক্তদের ব্যাখ্যা যা-ই হোক, ঘটনা হল, এই শিখাগুলি জ্বলছে স্মরণাতীত কাল থেকে।

একটি প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে কিংবদন্তি অনুসারে, সম্রাট আকবর নাকি একবার এই অগ্নিশিখাগুলি নেভানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন‌|

এটাই এই মন্দিরের প্রধান রহস্য যার উদ্ঘাটন আজও সম্ভব হয়নি|এমন কি বিজ্ঞানীরাও এটা খুজে বের করতে পারেনি এই অগ্নি কোথা থেকে এর জ্বালানি তেল পাচ্ছে এবং কিভাবে আদি অনন্ত কাল ধরে জ্বলছে এই দিব্য অগ্নি শিক্ষা|

হয়তো এই রহস্য চিরকাল রহস্যই থেকে যাবে আর সেখানেই আমাদের আধ্যাত্মিকতার জয়, আমাদের সনাতন ধর্ম বিশ্বাসের জয়|

আগামী পর্বে আবার লিখবো নতুন কোনো মন্দির ও তার রহস্য নিয়ে|পড়তে থাকুন এই ধারাবাহিক লেখনী|জ্যোতিষ পরামর্শ ও সঠিক প্রতিকারের জন্যে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|