কালী কথা – পোদ্দার কালী বাড়ির পুজো
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
মেদিনীপুরের প্রাচীন কালী পুজো গুলির মধ্যে পোদ্দার কালীবাড়ির কালীপুজো অন্যতম।আজকের কালী কথায় এই কালী পুজোর অলৌকিক ইতিহাস বর্ণনা করবো।
এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা স্থানীয় জমিদার লক্ষ্মী নারায়ণ । তিনি একদিন স্বপ্নাদেশ পান। দেবী তাকে স্বপ্নে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে কালী পুজো শুরু করার নির্দেশ দেন।জনশ্রুতি আছে তার দিন কয়েক পরেই মধ্যরাতে লক্ষ্মীনারায়ণ দের কানে ভেসে আসে যেনো এক নূপুর পরিহিতা মহিলা বাড়ির মধ্যে বিচরণ করছেন পরে আরেকবার স্বপ্নাদেশে বলা হয় নূপুরের শব্দ যেখানে গিয়ে বন্ধ হবে সেখানে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সেই আদেশ অনুযায়ী স্থান নির্বাচন করে সূচনা হয় এ পুজোর । লক্ষ্মী নারায়ণ বাবুর নামের অংশ লছমী কালী বাড়ি নাম হয়।লক্ষী নারায়ণ বাবুর পদবি দে হলেও পেশায় তিনি পোদ্দারি বা হিসেব রক্ষকের কাজ করতেন তাই তার থেকে পুজোর নাম হয় লছি বা লছমী পোদ্দার কালী বাড়ির পুজো।
তন্ত্র মতে পুজো হয় তবে বর্তমানে পশু বলীর পরিবর্তে পুজোতে হয় বিভিন্ন সবজি বলি । পুজোতে একশো আট কেজি চাল উৎসর্গ করা হয়। বংশানুক্রমে বর্তমানে এই পুজো করছেন বংশের ছয়জন উত্তরসূরি বা সেবাইত । শুরুর দিন থেকে আজ অবধি পুজোর আচার নিয়মে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি ।কয়েক বছর আগে পর্যন্ত প্রথা অনুযায়ী গরুর গাড়িতে নিরঞ্জন হতো এবং তা দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমাতেন।
ফিরে আসবো কালী কথা নিয়ে আবার আগামী পর্বে। থাকবে আরো একটি কালী মন্দিরের ইতিহাস।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।