শিব কথা – দেবী অন্নপূর্ণা ও মহাদেব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
সামনেই দেবী অন্নপূর্ণারে পুজো।তিনি অন্নের দেবী, সুখ ও সমৃদ্ধির দেবী|মর্তে দেবীর আবির্ভাবের সঙ্গে মহাদেবের গভীর সম্পর্ক রয়েছে আজ সেই পৌরাণিক ঘটনা আপনাদের জানাবো।
পুরাণ মতে দেবী পার্বতীর সঙ্গে দেবাদিদেবের মতবিরোধে দেবী কৈলাস ত্যাগ করলে মহামারি, খাদ্যাভাব ঘটে। ভক্তগণকে এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য দেবাদিদেব ভিক্ষার ঝুলি নিজ কাঁধে তুলে নেন। কিন্তু দেবীর মায়ায় ভিক্ষারও আকাল ঘটে। তখন দেবাদিদেব শোনেন কাশীতে এক নারী সকলকে অন্ন দান করছেন। দেবীকে চিনতে মহাদেবের একটুও দেরি হয় না। মহাদেব দেবীর কাছে ভিক্ষা গ্রহণ করেন ও অন্ন ভিক্ষা নিয়ে তার ভক্তদের খাদ্যাভাব থেকে রক্ষা করেন|
এরপর মহাদেব দেবীর একটি মন্দির নির্মাণ করেন কাশীতে এবং সেই থেকে তিনি কাশীর অধিষ্টাত্রী দেবী তার কৃপায় কাশিতে ইচ্ছা থাকলেও অনাহারে থাকা যায়না, প্রত্যেক কাশী বাসির অন্নদানের ভার দেবী অন্নপূর্ণার|
সবই ছিলো শিব এবং দেবী মহামায়ারে লীলা যার মধ্যে দিয়ে এক চৈত্র মাসের শুক্ল অষ্টমীতে দেবী অন্নপূর্ণা আবির্ভুতা হয়ে ছিলেন কাশীধামে। যে কাশী নগরী মহাদেবের ত্রিশূলের উপর অবস্থিত এবং মহাপ্রলয় ও যে কাশীরে ক্ষতি করতে অক্ষম সেই কাশীর সব কাশী বাসি প্রতিটি ভক্তের ভালো মন্দের দায়িত্ব স্বয়ং মহাদেব দেবী অন্নপূর্ণার হাতে অর্পণ করেছেন।
অন্নদাত্রী দেবী অন্নপূর্ণার আরেকনাম অন্নদা
তিনি দেবী দুর্গার আরেক রূপভেদ।মূলত দ্বিভূজা বা চতুর্ভূজা । গায়ের রঙ লালচে। দ্বিভূজা দেবীর বামহাতে সোনার অন্নপাত্র। ডানহাতে চামচ বা হাতা।মাথায় বিরাজিত অর্ধচন্দ্র। তিনি ক্ষুধার্ত মহাদেবকে অন্নদান করছেন স্মিতহাস্যে তার এক পাশে শ্রী ও অন্য পাশে ভূমি। শাস্ত্রে আছে দেবী অন্নপূর্ণা যে গৃহে নিত্য পূজিত হন সেই গৃহে মহাদেবের আশীর্বাদ থাকে দিবো সব অভাব
দুর হয়।
আবার ফিরে আসবো শিব মহিমা নিয়ে। থাকবে শিব সংক্রান্ত আরো একটি
পৌরাণিক ঘটনা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।