শিব অবতার – শরভেশ্বর রুপ

222

শিব অবতার – শরভেশ্বর রুপ

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

চৈত্র মাস শিবের গুনগান করার মাস।তাই সারা চৈত্র মাস ধরেই শিব মহিমা বর্ণনা করবো।

আজকের পর্বে শিবের একটি বিশেষ রূদ্র রূপ শর্বেশ্বর বা শরভ অবতার নিয়ে আলোচনা করবো

 

নৃসিংহ দেবের হাতে হিরণ্য কশিপুর বধ হলো কিন্তু নৃসিংহদেবের ক্রোধ কম হল না। তিনি ভয়ানক ধ্বংসলীলা চালিয়ে যেতে থাকেন। এই সময়ে সব দেবতারা একসাথে শিবের শরণ নেন। তাঁরা বুঝতে পারেন একমাত্র মহাদেবই নৃসিংহ দেবের ক্রোধ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারেন। শিব বীরভদ্র ও ভদ্রকালীকে প্রেরণ করেন নৃসিংহকে থামানোর জন্য। কিন্তু মহাপ্রতাপ নৃসিংহ সেই দুই মহাশক্তিকেও বিপর্যস্ত করে ফেলেন। এমতাবস্থায় মহাদেব নিজেই শরভ নামের এক বিচিত্রদর্শন প্রাণীর রূপ নিয়ে আবির্ভূত হন।

 

শরভ এক সুবিশাল পাখি। তাঁর সহস্রবাহু এবং পশুর মতো দেহ|নৃসিংহ ও শরভ অবতারের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ হয়|শরভের আঘাতে নৃসিংহ আত্মসংবরণ করেন। শরভই শেষ করেন নৃসিংহের লীলা।নৃসিংহ দেবের ক্রোধ থেকে রক্ষা পায় সৃষ্টি |

 

শিব নিজে একজন পরম বৈষ্ণব এবং নৃসিংহ দেব স্বয়ং বিষ্ণু| ভক্তের দ্বারা ভগবানের বধ বা ভক্ত এবং ভগবানের যুদ্ধ সনাতন ধর্ম শাস্ত্রের অতি বিরল ঘটনা|এই যুদ্ধ ও দুর্লভ অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় নৃসিংহ পুরান ও শিব পুরানে।

শরবেশ্বর শিবের উগ্র এবং ভয়াল একটি রূপ তাই সাধারণত সাধারণ ভক্তরা এই রূপের পুজো করেন না।

 

আগামী পর্বে শিব কে নিয়ে অন্য কোনো পৌরাণিক কাহিনী আপনাদের শোনাবো থাকবে তার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা এবং তাৎপর্য। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।