পুরানের দেব দেবী – শ্রী রাধা
পন্ডিতজী ভৃগুশ্রী জাতক
রাধা কোনো কাল্পনিক চরিত্র না বাস্তবে তার অস্তিত্ব ছিলো এনিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। অনেক মনে করেন রাধার উল্লেখ কোনো পুরানে নেই। তবে এটা ঠিক না বেদ সহ একাধিক ধর্ম গ্রন্থে রাধার উল্লেখ পাওয়া যায়। জন্মাষ্টমী রাধার জন্মদিন রূপে রাধাষ্টমীহিসেবে পালন করা হয়।
বৃন্দাবনের বর্ষাণা এলাকার রাভেলে এই দিনেই জন্ম হয়েছিল শ্রী রাধিকার।
বৃষভানুর মেয়ে হিসেবেই জন্ম হয় শ্রীরাধিকার। এই ত্রিলোকে শ্রীহরি একমাত্র রাধারই বশীভূত। শ্রীকৃষ্ণ সবাইকে আকর্ষণ করেন, কিন্তু রাধাই একমাত্র শ্রীকৃষ্ণকে আকর্ষণ করতে পারেন।
শাস্ত্র মতে একসময় সূর্যদেব পৃথিবী ভ্রমণ করতে আসেন। সেই সময় পৃথিবীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তিনি মন্দর পর্বতের গুহায় গভীর তপস্যা শুরু করেন।সূর্যদেব দিনের পর দিন তপস্যায় রত থাকায় পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সৃষ্টি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।দেবতারা তখন সৃষ্টি রক্ষার জন্য শ্রীহরির স্মরণাপন্ন হন। ভগবান বিষ্ণু সূর্যের সামনে এসে তাঁর ধ্যান ভঙ্গ করেন ও তাঁকে বর দিতে চান।
সূর্যদেব তাঁকে বলেন, ‘আমাকে এমন একটি গুণবতী কন্যা দিন যার কাছে আপনি চিরকাল বশীভূত থাকবেন।’ শ্রীহরি সূর্যকে বলেন যে
পৃথিবী কে অধর্ম থেকে রক্ষার জন্য তিনি দেবকী ও বসুদেবের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করবেন এবং বৃন্দাবনে নন্দালয়ে পালিত হবেন। সূর্যদেব সেখানে বৃষভানু রাজা হিসেবে জন্ম নেবেন। এবং রাধা হবেন তার কন্যা।
অনেকে বলেন রাধা ও কৃষ্ণের বিবাহ হয়নি। এই তথ্য যারা মানেন তারা মনে করেন রাধা আর কৃষ্ণ ভিন্ন নন তারা একই সত্ত্বা তাই বিবাহের প্রশ্ন ওঠেনা। আবার কোথাও কোথাও রাধা কৃষ্ণের বিবাহের প্রসঙ্গ আছে যেখানে বিবাহের পৌরহিত্য করেন স্বয়ং ব্রম্হা।
কৃষ্ণপ্রেমে মজতে হবে বা কৃষ্ণকে বুঝতে হলে শ্রী রাধিকাকে বুঝতে হবে কারন তারা এক ও অভিন্ন|রাধা তত্ব না বুঝলে কৃষ্ণ তত্ব বোঝা যায়না।
ফিরে আসবো পরের পর্বে অন্য এক দেবতা বা দেবীকে নিয়ে । পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।