শিব মাহাত্ম – চন্দ্রচুড় শিব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আজকের শিব মাহাত্ম পর্বে আপনাদের আসানসোলের চন্দ্রচুড় শিব মন্দিরের কথা জানাবো। এই মন্দির বর্ধমানের অন্যতম প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। শিব রাত্রি এবং নীল ষষ্টির সময়ে এই শিব মন্দিরকে কেন্দ্র করে এখানকার মানুষ উৎসবে মেতে ওঠেন।
আসানসোল শহর থেকে১১কিলোমিটার দূরে ১৯ নম্বার জাতীয় সড়কের পাশে এই মন্দির স্থাপিত রয়েছে।মন্দিরের বয়স আনুমানিক সাড়ে তিনশো বছর।
আসানসোলের চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরকে নিয়ে অনেক রকম কাহিনী প্রচলিত রয়েছে।কিভাবে এই শিব লিঙ্গ পাওয়া গেলো এবং মন্দির তৈরী হলো তা নিয়েও আছে এক ঘটনার উল্লেখ।শোনা আজ থেকে বহু বছর আগে যখন এই অঞ্চলে শিল্পাঞ্চল রূপে গড়ে ওঠেনি তখন এই অঞ্চলে চাষ বাসই ছিলো প্রধান জীবিকা। বেশি ভাগ এলাকা ছিলো কৃষি জমি এবং বন জঙ্গলে ভর্তি সেই সময়
একজন কৃষক একদিন মাঠে লাঙল চালাতে
গিয়ে হটাৎ লক্ষ্য করেন তার লাঙ্গল একটা কিছুতে আটকে গেছে। মাটি খুঁড়ে তিনি একটি পাথরের শিব লিঙ্গ পান।তিনি সেই শিবলিঙ্গ উদ্ধার করেন। তারপর গ্রাম বাসিদের চেষ্টায় সেই শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৈরি করা হয় মন্দির। মন্দির তৈরির পর থেকে প্রতিদিন বেড়েছে ভক্ত সমাগম। মন্দির পরিচালনার জন্য তৈরী হয়েছে বিশেষ কমিটি।
বর্তমানে জেলার অন্যতম পুরনো এবং বড় শিব মন্দির এই আসানসোলের চন্দ্রচূড় মন্দির। সারা বছরই এই মন্দিরে শিব ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসের সোমবার। তাছাড়া শিবরাত্রি তিথিতে চন্দ্রচূড় মন্দিরে প্রচুর সংখ্যক ভক্তদের সমাগম হয়। এই সময় গুলিতে সংসারের মঙ্গল কামনায় বহু মানুষ চন্দ্রচুড় শিবের আরাধনা করেন।শুধু বাংলা নয় পার্শ্ববর্তী রাজ্যযেমন ঝাড়খন্ড, বিহার থেকেও প্রচুর মানুষ চন্দ্রচুড় শিবের পুজো করতে আসেন।
আবার পরবর্তী পর্বে শিব মাহাত্ম নিয়ে ফিরে আসবো। থাকবে বাংলার আরো একটি প্রাচীন শিব মন্দিরের ইতিহাস। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।