কালী কথা – জোড়া কালীর পুজো

36

কালী কথা – জোড়া কালীর পুজো

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজ কালী কথায় আপনাদের একটি নয় একজোড়া কালী পুজোর কথা বলবো। এই কালী পুজো গোটা নদীয়া জেলায় জোড়া কালীর পুজো নামে প্রসিদ্ধ।নদিয়ার ভীমপুরের ময়দানপুরের কালীবাড়িতে একই মন্দিরে পাশাপাশি পূজিতা হন রক্ষাকালী ও দক্ষিণকালী এই দুটি রূপই।

 

এই পুজোর সূচনা হয় একটি অলৌকিক ঘটনার থেকে বহু বছর আগে এক কালীর পুজোর আগের রাতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। দেবী তাঁকে স্বপ্নে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ির কাছেই মনসা গাছ রয়েছে। সেই গাছের মাটির তলায় তাঁরা আছেন। তাঁদের মাটি থেকে তুলে পুজো করতে হবে।

 

প্রথমে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করেননি।সবই

তার অলীক কল্পনা বলে মনে করেছিলেন সবাই শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁর জোরাজুরিতে শুরু হয় মাটি খোঁড়া। বেশ কিছুটা মাটি খোঁড়ার পর উদ্ধার হয় জোড়া কালীমূর্তি। এরপর যেখান থেকে কালীমূর্তি দুটি উদ্ধার হয়, সেই মনসা গাছের পাশেই তৈরি করা হয় দেবীর বেদী।শুরু হয় পুজো। আজ সেই পুজোই জোড়া কালীর পুজো রূপে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোটা নদীয়া জেলায়।

 

এখনো জোড়া সেই মহিলার পরিবারের লোকজনই বংশপরম্পরায় এই পুজো করে চলেছেন।পাশাপাশি অসংখ্য ভক্ত যুক্ত হয়েছে এই পুজোর সাথে।

 

এই মন্দিরে দুই কালী প্রতিমার পাশে দেবী লক্ষ্মীর মূর্তিও রয়েছে। দেবী লক্ষ্মীকেও এখানে নিত্য পুজো করা হয়।বিশেষ তিথি তে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়। নিত্য পুজোর পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়।

কালীপুজোর দিনগুলোয় এই মন্দির পরিসর যেন বিরাট এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিপুলসংখ্যক ভক্ত এখানে ভিড় করেন।

 

সামনেই ফলহারিণী অমাবস্যা । সেই উপলক্ষে চলতে থাকবে ধারাবাহিক কালী কথা

ফিরে আসবো পরবর্তী পর্ব নিয়ে

আগামী দিনে।পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।