বর্ধমানে এক ছোট্ট গ্রাম তকিপুর। এখানেই পূজিত হন বড়ো মা কালী পুজো শুরু করেছিলো বর্ধমানের রাজ পরিবার। তারপর একাধিকবার পূজোর দায়িত্ব হস্তান্তর হয়েছে নাটকীয় ভাবে। আজকের পর্বে তকিপুরের বড়মার পুজো নিয়ে।সে প্রায় পাঁচশো বছর আগের কথা তখন এই অঞ্চলের রাজা বিজয় চাঁদ মহতাব একদিন তাকে স্বপ্নে দেখা দেন বড়মা। নির্দেশ দেন মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজো করতে। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়ে।বিজয়চাঁদ শুরু করেছিলেন এই পুজো। তবে তার ও আগে থেকে ওই স্থানে দেবীর পুজো চলে আসছিলো। পূজোর দায়িত্বে ছিলো ডাকাতরা দেবীর নির্দেশে রাজা বহুদিন অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকা দেবীর মুর্তি ও মন্দির নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেন মাত্র।তারপর আবার বহুকাল অবহেলিত হয়ে পরে ছিলো ওই মন্দির।অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বা তার আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র জানতে পারেন আউশগ্রামের তকিপুর জঙ্গলে একটি কালীমূর্তিআছে যেখানে বর্তমানে মায়ের সঠিক সেবা হচ্ছেনা দেবী সেখানে অবহেলিত। খবর জানা মাত্রই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র শতাধিক ঘোড়া, হাতি, ঢাকি নিয়ে হাজির হন তকিপুরে এবং ধুমধাম করে পুজো করেন তিনি। তারপর থেকেই তকিপুরের কালীর সমাদর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রান্তে।যখন রাজ তন্ত্র বা জমিদারি প্রথা লোপ পায় তখন তৈরী হয় পুজো কমিটি এবং তারাই এই পাঁচশো বছরের পুরনো এই কালীর পূজোর ঐতিহ্য স্বগৌরব বহন করে চলেছেন।যখন ডাকাতরা কালী পুজো করতো তখন মধ্যরাতে মশাল জেলে পুরোহিতমশাইকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসা হতো। আজও সেই প্রাচীন প্রথা মেনে আলো দেখিয়ে পুরোহিত কে নিয়েআসা হয় পূজোর আগে এবং পূজোর পর পুনরায়তাকে আলো দেখিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।সারা দেশে অসংখ্য এমন রহস্যময় মন্দির আছে।আগামী দিনগুলিতেও এমন সব দেবী মাহাত্মএবং মন্দির রহস্য নিয়ে ফিরে আসবো।দেখা হবে পরের পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।