বাংলায় মা কালীর সঙ্গে ডাকাতদের যোগ বেশ আত্মিক এবং প্রাচীন।এক সময়ে রাতের অন্ধকারে ডাকাতদের গোপন আস্তানায় চলত মা কালীর আরাধনা। পুজো শেষে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে রওনা দিত ডাকাতেরা। পুজোয় বলি দেওয়া হত পাঁঠা থেকে মানুষ সবই।আজ সেইসব ইতিহাস তবে রীতি নীতি বজায় রেখে পুজো চলে আসছে। আজকের পর্বে এমনই এক পুজোর কথা লিখবো।আজ থেকে প্রায় তিন-চার শতাব্দী আগের কথা। তখন গ্রামজুড়ে ঘন জঙ্গল, চারিদিকে ডাকাতদের আধিপত্য। দুর্ধর্ষ এক ডাকাত দলের হাত ধরেই হাওড়ার পাঁচলার সাহাপুর গ্রামে শুরু হয়েছিল কালীপুজো।লুঠ করে হতো পুজো। পুজোর পর প্রসাদ ও ডাকাতরা নিজেদের মধ্যে কাড়াকাড়ি করে বা লুঠ করে খেতো।মাঝে কেটে গিয়েছে কয়েকশো বছর। গ্রামজুড়ে আজ উধাও জঙ্গল, গ্রামে ডাকাতির ঘটনাও আজ প্রায় অতীত। কিন্তু আজও ঐতিহ্য ও নিয়মে অটুট ডাকাতদের হাতে শুরু হওয়া সাহাপুরের ‘লুট কালী’ পুজো।আজও রীতি মেনে পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হলেও পুজোর দিন প্রতিমায় রঙ করে তা পুজো করা হয়।প্রথা মেনে আজও ডাকাত কালীপুজোয় হয় লুঠ। সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গ্রামের বহু মানুষ মা’য়ের কাছে পুজো হিসাবে বিভিন্ন ফল নিবেদন করেন। সেই ফল বাঁশ দিয়ে ঘেরা থাকে।বহু প্রাচীন রীতি মেনে আজও পুজো চলাকালীন একাধিক বার সেই ফল বা প্রসাদ লুঠ করেন ভক্তরা।গোটা জেলা থেকে মানুষ এখানে আসেন অদ্ভুত এই লুঠ কালী পুজো দেখতে। এখানে আজও তন্ত্র মতে পুজো হয়। ফিরে আসবো পরের পর্বে।অন্য কোনো দেবী মাহাত্ম নিয়ে আলোচনা করতে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।