দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধ ও দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা

432

আনুষ্ঠানিক ভাবে মহালয়ায় দেবী পক্ষের সূচনা হলেও বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই আকাশে বাতাসে একটা পুজো পুজো গন্ধ পাওয়া যায়|উৎসবের সূচনা বলা যায় আজকের দিনটিকে|আজ বিশ্বকর্মাপুজোর দিনে প্রথমেই প্রনাম জানাই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মাকে|প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে দেবী দূর্গা কতৃক মহিষাসুর বধে বিশ্বকর্মার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে|বিষ্ণুপুরান অনুসারে সূর্যের তেজ ও রশ্মির ব্যবহার করে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা ত্রিশূল নির্মাণ করেন এবং তা শিবকে প্রদান করেন|এতে শিব ও তার অস্ত্র পান এবং সূর্যের তেজ কিছুটা কমায় বিশ্বকর্মার কন্যা এবং সূর্যপত্নী সংজ্ঞাও কিছুটা স্বস্তি পান|ত্রিশূল শুধু শিবের নয় দেবী দূর্গারও অস্ত্র কারন মহিষাসুর বধের জন্য বিভিন্ন দেবতা যখন দেবীকে বিভিন্ন অস্ত্রদান করেন তখন ভগবান শিব তাকে এই ত্রিশূলটি দান করেছিলেন,দেবী মহিষাসুরকে ত্রিশূল দিয়েই বধ করেন|দেবী দুর্গার অন্যতম প্রধান অস্ত্র সুদর্শনচক্র তৈরি করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা, বৈষ্ণবরা বিশ্বাস করেন সুদর্শন চক্র ও বিষ্ণু এক এবং অভিন্ন|ভয়ংকর অসুররের কাছ থেকে সৃষ্টি কে রক্ষা করা হোক বা ক্রোধে উন্মত্ত মহাদেব কে শান্ত করতে সতীর দেহকে খণ্ডিত করা হোক সুদর্শন চক্র থাকে মুখ্য ভূমিকায়|প্রকৃত অর্থে সুদর্শন চক্র শুভ শক্তির প্রতীক যা অশুভ শক্তিকে বার বার পরাজিত করেছে|স্বয়ং বিষ্ণু দেবী দুর্গাকে অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তার প্ৰিয় সুদর্শন চক্র দান করে ছিলেন|তার অন্য অন্য কীর্তি গুলি নিশ্চই আপনারা জানেন|রাবনের সোনার লঙ্কা থেকে জগন্নাথ বিগ্রহ কুবেরের অলকাপুরী থেকে ইন্দ্রের প্রাসাদ সবই তার সৃষ্টি|দেব শিল্পী বিশ্বকর্মাকে আমার প্রনাম ও শ্রদ্ধা জানাই|আপনাদের সবাইকে বিশ্বকর্মাপুজোর শুভেচ্ছা|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|