কুলটির লালবাজারের ফলহারিনী কালী মন্দির বেশ বিখ্যাত এখানে সাদা রঙে ফলহারিণী রূপে পুজো নেন দেবী কালী।কথিত আছে এইরূপে ভবতারিণী দর্শন দিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে।তিনিও স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেছেন। তবে কালীর এমন সাদা রূপের আরাধনা, সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়না এই বাংলায়।পুজোর প্রতিষ্ঠাতাপরিবার এবং পূজারীদের থেকে জানা যায় বহুকাল আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু হয়।দেবী স্বপ্নে স্বয়ং এইরূপ আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে নিয়মিত পুজো নিয়ে আসছেন কুলটির ফলহারিনী কালী। বিশেষ একটি পরিবার নিত্য পুজো করেন দেবীর। পাশাপাশি গ্রামের মানুষও দেবী কালিকার সাধনায় মেতে ওঠেন। প্রত্যেক ফল হারিণী অমাবস্যায় জাঁকজমক সহকারে হয় পুজো। স্থানীয় মানুষজনও সেই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। মন্দিরে সম্পূর্ণ প্রস্থর নির্মিত মূর্তি রয়েছে দেবীর। পাশের জেলা বাঁকুড়ার শুশুনিয়া থেকে মূর্তিটি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেই মূর্তির নিত্য পুজো হয়।প্রতিষ্ঠাতা ঘোষ পরিবারের কথায় স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরেই তিনি বাঁকুড়ায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাদের পরিবারের এক সদস্য সেখানে গিয়ে তিনি মায়ের মূর্তিটি পান এই রূপেই। তাই সেই রুপেরই আরাধনা শুরু করেছেন তিনি।পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একমাত্র এখানেই রয়েছে সাদা রংয়ের কালীমূর্তি। বাংলা জুড়ে সাদা রংয়ের কালীমূর্তি বিশেষ দেখতে পাওয়া যায় না। পাশের জেলা বাঁকুড়া একটি জায়গায় এই রূপে কালীপুজো হয়। তবে কুলটির ফলহারিনী কালী জেলার একমাত্র সাদা রূপের কালীপুজো।সামনেই ফল হারিণী অমাবস্যা|চলতে থাকবে কালীকথা|ফিরে আসবো নতুন পর্ব নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|