কালীকথা – ফল হারিণী অমাবস্যা ও দক্ষিনেশ্বর

554

সামনের 29 তারিখ ফলহারিণী অমাবস্যা|আজ থেকে শুরু করছি কালী কথা নামে এই বিশেষ অধ্যায়|কালী কথায় থাকবে ফলহারিণী অমাবস্যা নিয়ে আলোচনা ও তার সাথে বাংলার কিছু প্ৰখ্যাত কালী মন্দিরের কথাও বলবো যেখানে নিষ্ঠা সহকারে পালিত হয় ফলহারিণী কালী পুজো|জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে একটি রাশিচক্রে দু’রকমের গ্রহ থাকে। নৈসর্গিক শুভ গ্রহ ও অশুভ গ্রহ। শুভগ্রহ জাতকের জীবনে শুভ ফল দিয়ে থাকে। ঠিক একই রকম অশুভ গ্রহ অশুভ ফল প্রদান করে থাকে, বিশেষ করে অশুভ গ্রহের দশাকালে জাতককে নানা ভাবে নাস্তানাবুদ হতে হয়। কোনও গ্রহই শুভ বা অশুভ নয়। গ্রহের রাশিচক্রে অবস্থান, মাঙ্গলিক অবস্থান ও ভাবগত ভাবে অবস্থানের ওপর গ্রহের শুভাশুভত্ব নির্ভর করে।আবার কিছু গ্রহগত সংযোগ বা অশুভ যোগ যাদের দোষ বলা হয়ে থাকে তারাও জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে, যেমন কালসর্প দোষ, মাঙ্গলিক দোষ, গ্রহণ দোষ, বিষ যোগ, দারিদ্র যোগ,ইত্যাদি|গ্রহের এই অশুভ ফল দেয়ার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে দায়ী কর্মফল|এই কর্ম ফল পূর্ব জন্মের ও হতে পারে আবার কোনো পূর্ব পুরুষের ও হতে পারে|দেবী কালী তার ফল হারিণী রূপে অবির্ভুতা হয়ে মানুষ কে তার কর্মফল থেকে মুক্তি দেন|অর্থাৎ গ্রহ দোষ খণ্ডনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তিথি ফলহারিণী অমাবস্যাতিথি|ফল হারিণী কালী পুজো নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে দক্ষিনেশ্বর মন্দির নিয়ে বলতে হয় কারন ঠাকুর রামকৃষ্ণ এই দিনেই স্ত্রী সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগৎ কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ইংরেজির ১৮৭৩ সালে জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে দক্ষিণেশ্বরে আদ্যাশক্তি মহামায়ার পুজো করেছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ|ফলহারিণী কালী পুজোর দিন শ্রীমা সারদাকে ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন তিনি যিনি দশ মহাবিদ্যার অন্যতম রূপ|আজও রামকৃষ্ণমঠ ও আশ্রমে এই পুজো ‘ষোড়শী’ পুজোনামে পরিচিত।আজও মহা ধূমধামে দক্ষিনেশ্বরে ফল হারিণী কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়|চলতে থাকবে কালী কথা আগামী পর্ব গুলিতে ফল হারিণী অমাবস্যা নিয়ে আরো অনেক কথা বলবো সঙ্গে আরো কিছু কালী মন্দির ও সেখানকার ফল হারিণী কালী পুজো নিয়ে বলবো|আগামী ফলহারিণী অমাবস্যা তারাপিঠে যারা দোষ খণ্ডন করাতে চান যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|